ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১১ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট নারায়ণগঞ্জ, মদনপুর ও শুলপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

নারায়ণগঞ্জ, মদনপুর ও শুলপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

0
314

ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা

ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন থেকে নারয়ণগঞ্জ, মদনপুর ও মুঞ্জিগঞ্জে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ পরিবার পেল ত্রাণ সহায়তা।

১৭ আগস্ট সকালে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে ঢাকা ক্রেডিটের কালেকশন বুথে ২০ পরিবার ত্রাণ গ্রহণ করে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের চিফ অফিসার জোনাস গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের লক্ষ্মীবাজার সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার লরেন্স কাজল রোজারিও ও উপকারভোগীগণ। মদনপুরে বেশিরভাগ উত্তর ও দক্ষীণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের বাস। তাঁরা বিভিন্ন কারিগরী স্কুল থেকে পড়াশোনা করে মদনপুরের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় চাকরি করছেন। তবে করোনায় অনেকে ঠিক মতো বেতন পান না। অনেকে হারিয়েছেন চাকরি। তাঁদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন।

তাদেরই একজন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গির রুবিনা দাশ। তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, ‘করোনায় চাকরি হারিয়ে আমি বেকার। আজ ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন থেকে যে সহায়তা পেলাম, তা আমার এই বিপদের দিনে খুবই উপকার হবে। প্রায় এক মাসের খোরাক হলো আমার। ফাউন্ডেশনের পরিচালকদের ধন্যবাদ জানাই এই দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য।’

দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ক্যাথলিক গির্জা প্রাঙ্গণে ২০ পরিবার ত্রাণ গ্রহণ করে। ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত এলিয়াস মুরমু, ফাউন্ডেশন সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা পিন্টু পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি রেভা. সৌরভ দেউরী, ঢাকা ক্রেডিটের চিফ অফিসার জোনাস গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের লক্ষ্মীবাজার সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার লরেন্স কাজল রোজারিও ও উপকারভোগীরা।

খ্রিষ্টভক্তদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ফাদার এলিয়াস মুরমু। ফাউন্ডেশনের সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে টেলি মেডিসিন সেবা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

বিকালে মুন্সিগঞ্জের শুলপুর গির্জার হল রুমে ২৫ পরিবার ফাউন্ডেশনের ত্রাণ গ্রহণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুলপুর ধর্মপল্লী পাল-পুরোহিত লিন্টু এফ ডি’ কস্তা, ফাউন্ডেশনের সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া, ডিকন সাগর ক্রুশ, শুলপুর খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:-এর চেয়ারম্যান সজল পিরিচ, শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন মেম্বার রবিন ডি’ক্রুশ,  ঢাকা ক্রেডিটের চিফ অফিসার জোনাস গমেজ ও উপকারভোগীগণ।

শুলপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপকারভোগী বলেন, ‘আমি ফাউন্ডেশনের দেওয়া খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী দিয়ে বেশ কিছু দিন চলতে পারবো। ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী। আমাকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রত্যেক পরিবার পেয়েছে ২০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি পেয়াজ, ২ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ এবং ৫ টি মাস্ক। শুলপুর ধর্মপল্লীতে পাল-পুরোহিতকে দেওয়া হয় বেশ কিছু পিপিই, মাস্ক ও স্বাস্থ্য সামগ্রী।