শিরোনাম :
অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা (ভিডিও)
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হলো উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা।
২৭ সেপ্টেম্বর, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়ার সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার রতন পিটার কোড়াইয়া, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেমস প্রদীপ বিশ্বাস, বিবিএস’র প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার খ্রিষ্টোফার অধিকারী, ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএস’র সেক্রেটারি জেনারেল নিপুন সাংমা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেশনের প্রেসিডেন্ট শৈবাল সাংমাসহ ঢাকা ক্রেডিটের সম্মানিত উপদেষ্টাবৃন্দ।
মুক্তালোচনায় অংশ নেন, উপদেষ্টা কর্নেল যোসেফ অনিল রোজারিও, ফ্রান্সিস রোজারিও মিলন, জ্যাস্টিনা বিশ্বাস, কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন ম্যানেজার পল মিস্ত্রী, সমর বার্ণার্ড কস্তা, ফেলিক্স বাবলু গমেজ, সেলেস্টিন গমেজ, ডিভাইন মার্সি জনারেল হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির সদস্য জোনাস এ. বটলেরু, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা করোনার অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠছি। সব সময় আপনাদের সমর্থনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখন কনসোর্টিয়াম প্রোগ্রামে যাওয়া উচিত। এ ছাড়াও এর মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা সম্বিলিতভাবে কয়েকটি সমিতির মিলে বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছি, তারা এতে স্বাগতও জানিয়েছেন। আপনাদের সমর্থন পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছরই আমরা চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’
কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রস্তাবে সমিতির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হাসপাতাল শুরুর তিন বছর পর আমরা মেডিকেল কলেজের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো। সেই মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ শুরু করেছি। তাছাড়া এর মধ্যে নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনিস্টিটিউট-এর জন্য প্রস্তাবনাও প্রদান করেছি। আশা করি খুব শিঘ্রই আমরা অনুমতি পাব। সুতরাং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমাদের আরও সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের আয়োজন করতে যাচ্ছি।’
এ সময় অন্যান্য বক্তারা ঢাকা ক্রেডিটের চলমান প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন এবং যুগোপযোগি সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট সব সময়ই নতুনত্ব ও স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। আপনাদের সকল প্রকার কর্মযজ্ঞের সাথে আমরা রয়েছি। আশা করি আর্থসামাজিক উন্নয়নে ঢাকা ক্রেডিট সব সময়ই এভাবে অবদান রেখে যাবে।’
মুক্তালোচনায় উপদেষ্টাগণ ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ বিষয়ক পরামর্শ রাখেন।
এ দিন ঢাকা ক্রেডিটের বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে নির্মিতব্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।