শিরোনাম :
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি রচিত ২টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রকি ষ্ট্যানলী রোজারিও ॥ ঢাকা
বাংলাদেশের প্রথম কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি রচিত ২টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
১ অক্টোবর মোহাম্মপুরের সিবিসিবি সেন্টারে বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন করেন আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ ওএমআই।
“খ্রিষ্টমন্ডলী ও পালকীয় কর্মকান্ড-” বিষয়ে দুইটি খন্ডে বই দুইটি প্রকাশিত হল যার প্রথম খন্ডটি চট্টগ্রাম ও রাজশাহী ডাইয়োসিস এবং দ্বিতীয় খন্ডটি ঢাকা আর্চডাইয়োসিসের ধর্মপাল থাকাকালীন অবস্থায়। বিশপ বা ধর্মপাল হিসেবে তিনি ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ হতে ২০২০ খ্রী: পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা খ্রিষ্টীয় ধর্মপ্রদেশের দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার ফসল এই দুইটি গ্রন্থ। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ অক্টোবর বরিশালের পাদ্রীশিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক। তার ৭৮তম জন্মদিনে বই দুটি প্রকাশিত হল।
সিবিসিবি সেন্টারের পরিচালক ফাদার তুষার গমেজ অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম জানান। গ্রন্থ দুইটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন ফাদার আগষ্টিন বুলবুল রিবেরু। এরপর কারিতাস বাংলাদেশের কর্মসূচি পরিচালক জেমস্ গোমেজের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখক সঞ্জীব দ্রং, জাতীয় সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া র্ঝণা সরকার, বিশপ থিওটনিয়াস গমেজ, সিএসসি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, হলি ক্রস কলেজের অধ্যক্ষা সিষ্টার শিখা গমেজ সিএসসি, কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও, ফাদার ডেভিড গমেজ, ফাদার যাকব গমজে, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, কোর দি জুটওয়ার্ক এর পরিচালক বার্থা গীতি বাড়ৈ, লেখক সুনীল পেরেরা প্রমুখ।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক আলোকপাত করেন বই দুইটি রচনার প্রেক্ষাপট, প্রকৃতি, প্রেরণা ও মূল ভাবনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে কার্ডিনালের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয় ও সঙ্গিত পরিবেশিত হয়।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অভিষিক্ত যাজক। দিনটা ছিল ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো, পোপ ফ্রান্সিস তাঁর সহযোগী হিসেবে কার্ডিনাল মনোনিত করেন প্যাট্রিক ডি’রোজারিও’কে। বিগত এক বছর ধরে তিনি অবসরে রয়েছেন। সর্বশেষ দুইটি গ্রন্থ নিয়ে তাঁর মোট ১৩টি পুস্তিকা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অগণিত নিবন্ধ, রচনা বা লেখা দেশ-বিদেশের পত্রিকাসহ নানা ধরনের প্রকাশনায় স্থান করে নিয়েছে। অপ্রকাশিত লেখাগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বই প্রকাশ হতে পারে।