ঢাকা ,
বার : শুক্রবার
তারিখ : ১০ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে...

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা

0
290

ডিসিনিউজ || ঢাকা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ও  স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে।

২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন (বিসিএ) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি। বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান, এমপি ও মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দুইজন সাংসদ- জুয়েল আরেং, এমপি ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি। অন্যান্য বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: ঢাকা’র প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলর্বাট কস্তা, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ জাতীয় চার্চ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেভা: ডেভিড অনিরুদ্ধ দাশ।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি বাংলাদেশ যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বাঙালি, আদিবাসী সবাই হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে। যা চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকের দিনে আমরা তাঁকে ও তাঁর পরিবারের যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করিছ। জাতীয় চার নেতা যাঁদেরকে জেল অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়েছিল এবং ১৯৫২ থেকে এই পর্যন্ত যাঁরা দেশ ও দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁদেরকেও গভীর শ্রদ্ধাভরে ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।’

তাঁরা বলেন, খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সংখ্যায় এদেশে কম হলেও দেশের সামগ্রীক উন্নয়ন, মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। হাজার বছর ধরে এই দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এক সাথে বসবাস করে যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি যেন অটুট থাকে সেই প্রত্যাশা করেন তাঁরা।

বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ থাকতো কিনা তা বলা যায় না, তিনি যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, আমাদের সেই চেতনা নিয়ে দেশ গড়তে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ভালোভাগে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁকে আমরা সমর্থন করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বক্তাগণ বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, আপনাদের জানাই লাল সালাম। বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর কৃতজ্ঞতা।

অতিথিদের বক্তব্য ছাড়াও অনুষ্ঠানের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ ও প্রার্থনা, অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা, মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সভাপতির স্বাগত ভাষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিপুন সাংমা।

অনুষ্ঠানে দেশের খ্রিষ্টন বীর মুক্তি যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিনসেন্ট বিজয়  রিবেরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জেমস আর.কে. হাজরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাফায়েল পিউরীফিকেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় ম্যানুয়েল ডি প্যারেস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল পালমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিনসেন্ট ইউজিন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা  গিলর্বাট নির্মল বায়েন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল গাব্রিয়েল কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা  অরুন আব্রাহাম ডি’কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিধান রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা রিচার্ড গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিনসেন্ট ইউজিন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিলিপ বাদল কোড়াইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ মার্টিন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল গমেজ,  বীর মুক্তিযোদ্ধা  সিলভেষ্টার গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সলোমন পালমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডেভিড গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবি রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমর উইলিয়াম পালমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বার্নার্ড রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল হিউবার্ট পেরেরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুন আলফন্স কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসি বানোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেবাষ্টিয়ান  গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আদম কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শান্ত ডি’রোজারিও,  বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমন্ড জন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ম্যানুয়েল এ্যান গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিলবার্ট গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা  মার্টিন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা চার্লস গমেজ ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইমন পিউরীফিকেশন  (নোটোন), বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্রান্সিস ডি কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় হাজরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বরুন ডি. কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আদম ডি কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেনেছি কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা যোসেফ গমেজ (টনো), বীর মুক্তিযোদ্ধা  জেরম গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা  এডওয়ার্ড রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা  যোসেফ বিজয় কোড়াইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শান্ত বি রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা  জেরম গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডওয়ার্ড রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা যোসেফ বিজয় কোড়াইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল গাব্রিয়েল কস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা  সুশান্ত কস্তা,  বীর মুক্তিযোদ্ধা  সন্তোষ রড্রিক্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাদার ফ্রান্সিস এস ডি বি, শহীদ  বীর মুক্তিযোদ্ধা  আশিষ ব্যাপারী, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ^াস, ট্রেজারার পিটার রতন, বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ জাতীয় পরিষদের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জনি হিউবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহা সচিবদ্বয় জেমস সুব্রত হাজরা ও যোসেফ ডি সরকার, এসোসিয়েশনের  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জন অরুনেশ বাড়ৈ, দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মলয় নাথ, যাত্রাবাড়ি থানা শাখার এ যোসেফ দাস, মিরপুর থানা শাখার প্রেসিডেন্ট যোসেফ স্বপন চৌধুরী, এসোসিয়েশনের লক্ষ্মীবাজার থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ভিক্টর রে, ঢাকা ক্রেডিট, হাউজিং সোসাইটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মীসহ প্রায় এক হাজার মানুষ।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি প্রিয়ন্ত সি. কস্তা ও গণমাধ্যম কর্মী রোজমেরী জয়ধর করবী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ও  স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয় প্রমাণ্য চিত্র, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’। এটির পরিচালনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নির্মল রোজারিও ও হেমন্ত আই কোড়াইয়া, গ্রন্থনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন রোজমেরী জয়ধম করবী ও সুমন কোড়াইয়া, সম্পানা করেছেন রকি রোজারিও, বিশেষ কৃতজ্ঞতা: সূচনা সঙ্গীত, গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠ- জুয়েল জয় বালা।

প্রমাণ্য চিত্র, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’