ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ প্রথম করোনা টিকাগ্রহণকারী রুনু কস্তাকে দিয়েই বুস্টার ডোজ শুরু

প্রথম করোনা টিকাগ্রহণকারী রুনু কস্তাকে দিয়েই বুস্টার ডোজ শুরু

0
429

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর প্রথম টিকাগ্রহণ করেছিলেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সেবিকা রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এবার তাকে দিয়েই শুরু হলো বুস্টার ডোজ কার্যক্রম।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান’স অ‌্যান্ড সার্জন’স (বিসিপিএসএ) মিলনায়তনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বুস্টার টিকা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন টিকার জন্য যত টাকা লাগে উনার সরকার দেবে। ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিতে যে যে প্রস্তুতি দরকার আমরা নিচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপটেড করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা আপডেট করতে পারবে না। সুরক্ষা অ্যাপে এখন নিবন্ধন করা সম্ভব না হলেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চলমান থাকবে। কার্ডের মাধ্যমে টিকা নেওয়া যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী দিয়েছি। বুস্টার ডোজও আমরা ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুযায়ী দেবো। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ফাইজারের টিকা দেবো। ডব্লিউএইচও বলেছে, যারা অন্যান্য টিকা নিয়েছে তারাও বুস্টার হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবে। আমরা শুনেছি মডার্নাও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া যায়। আমাদের স্টকেও মডার্না আছে।

তিনি বলেন, যদি আমরা ৭০ শতাংশ ব্যক্তিদের টিকা দিতে চাই তাহলে আমাদের ২৪ কোটি টিকা লাগবে। এই ৭০ শতাংশ হলো ১২ কোটি মানুষ। ৭০ শতাংশ মানুষকে ২ ডোজ টিকা দিতে আমাদের ১৩ কোটি টিকা লাগবে। মাঠ পর্যায়ে এবং হাতে যে টিকা আছে সেটা হলো ৪ কোটি ৬৩ লাখ। ডিসেম্বর নাগাদ আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ ডোজ টিকা হাতে পাওয়া যাবে। ২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা আমরা পাব। ৩১ মার্চ নাগাদ সম্ভাব্য প্রাপ্তি (অপচয়সহ) ১৬ কোটি ৮৫ লাখ। ৭০ শতাংশ কাভারেজের জন্য এপ্রিলের মধ্যে আমাদের প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ডোজ। তখন আমাদের হাতে থাকবে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। টিকার কোনো ঘাতটি আমাদের হবে না।