শিরোনাম :
পানজোড়ায় সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব: হাজারো আন্তনীভক্তের ঢল
পানজোড়া, কালীগঞ্জ ।। ডিসিনিউজ
হাজারো সাধু আন্তনী ভক্তের মিনতি ও প্রার্থনায় সিক্ত হলো নাগরীর পানজোড়ার সাধু আন্তনীর তীর্থস্থান।
এবারো পানজোড়ায় সাধু আন্তনীর তীর্থ উপলক্ষে হাজারো আন্তনীভক্তের ঢল নামে।
১৩ মে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্তনীভক্তরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান এবং বিভিন্ন দেশ থেকে তীর্থে অংশ নেয়। তীর্থের প্রথম খ্রিষ্টযাগ সকাল ৭টায় এবং দ্বিতীয় খ্রিষ্টযাগ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর (দীর্ঘ তিন বছর) এবার পানজোরায় সাধু আন্তনীর তীর্থ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ১ম শুক্রবার হলেও এবার করোনা মহামারির জন্যই মে মাসে এই তীর্থ অনুষ্ঠিত হলো।
তীর্থোৎসবের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে এবার প্রতিদিন নভেনার আয়োজনা করা হয়েছিল।
তীর্থের দিন পর্বীয় মহা খ্রিষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন সিলেটের বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ। সাথে ছিলেন নাগরীর পাল-পুরোহিতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ফাদারগণ।
তীর্থোৎসবে আগত একজন মুসলিম ভাই নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্তান ছিল না, অনেক চেষ্টাও করেছি ডাক্তার কাছে গিয়ে। তাতে কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু এক বন্ধুর মাধ্যমে সাধু আন্তনীর কথা জানতে পারি। এখানে এসে প্রার্থনার পর আমাদের সন্তান হয়েছে। তাই প্রতি বছর এখানে ধন্যবাদ জানাতে আসি।’
একজন মা কান্না করে বলেন, ‘আমাদের পরিবারে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে ছিলাম। সাধু আন্তনীর কাছে এসে প্রার্থনার পর আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছে। এ বছর পর্বে আসতে পেরে আমার আনন্দ লাগছে।’
পায়রা, গবাদি পশু, খাদ্য, মোমবাতি, স্বর্ণালংকার, অর্থ ইত্যাদি দিয়ে ভক্তরা প্রতিবছর সাধু আন্তনীর পদতল সিক্ত করেন। ভক্তদের মানত পূর্ণ হয়েছে তাঁরই সাক্ষ্য এই উপহার সামগ্রী।
এবারে পর্বীয় খ্রিষ্টযাগে বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, প্রায় ৭০জন পুরোহিত, এবং অন্যান্য ব্রতধারীসহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন ধর্মের হাজারো আন্তনীভক্ত তীর্থে অংশ নেয়।