ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ২৬ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ কালো দিবস উপলক্ষে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা

কালো দিবস উপলক্ষে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা

0
159

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

রাষ্ট্র ধর্ম বিল আইনে পরিণত হবার জন্য দিনটি কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশী নাগরিকরা। এই উপলক্ষে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ৯ জুন এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

১৯৮৮ সালের ৭ই জুন। মিলিটারি স্বৈরশাসক লে: জে: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল। তৎকালীন সংসদে পাশ করা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল। এই সংশোধনী দিয়ে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রী কাজল দেবনাথ, অধ্যাপক ড. অরুন কুমার গোস্বামীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা ১৯৮৮ সালের সংবিধানের পরিবর্তন করে রাষ্ট্রধর্মকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি পুনরায় অনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, ‘মহান মুক্তি যুদ্ধে জাতি ধর্ম নির্বিশেয়ে সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেদিন কোনো রাষ্ট্রধর্মের জন্য কেউ লড়াই করেনি। বাংলাদেশ আসাম্প্রদায়িক চেতনার ফসল। যেদিন সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র ধর্ম বিল আইনে পরিণত করা হয়, তখন সকল রাজনৈতিক দল এর বিলের বিরোধীতা করে। এরপর সেই দলগুলো ক্ষমতায় এসে বিলটি পুনরায় ৭২-এর সংবিধান অনুসারে পরিবর্তন করেনি। এমনকি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও বিলটি পুনরায় সংশোধন করে স্বাধীনতা মূলস্তম্ভের সাথে যুক্ত করেনি। এখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে, আশা করি এই সরকার রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে পুনরায় ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাবে।’

১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে যে জাতিগত বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল, এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল থেকে সেই বিভাজন রয়ে গেছে। ২০১৬ সালে অষ্টম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটা রিটের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কিন্তু সরকার চাইলেই স্বাধীনতার মূলনীতিকে গ্রহণ করে পুনরাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে পারে।