শিরোনাম :
জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দেশসেরা সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিটের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
দেশসেরা সমবায় প্রতিষ্ঠান দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করলো ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
২ জুলাই, বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন বাংলাদেশ-এ (কেআইবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করে। ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদস সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো:হারুন-আর-রশিদ বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম-নিবন্ধক মো: রিয়াজুল কবীর, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ (কাক্কো) লি:-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোাজারিও, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:-এর চেয়ারম্যান আগস্টিন পিউরীফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, ট্রেজারার রতন পিটার কোড়াইয়া, প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিও প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট এখন অনেক উচ্চতায় চলে গেছে। আমি ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম দেখে অবাক হই। খ্রিষ্টানরা যেখানেই কাজ শুরু করেছে, সেখানেই সফল হয়েছে। আমি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে অনেক কাজ করেছি। খ্রিষ্টানরা অনেক সৎ এবং একনিষ্ঠ হয়। খ্রিষ্টানরা সততার জন্যই ক্রেডিট ইউনিয়নগুলো এত সফল হয়েছে। আজ ঢাকা ক্রেডিট সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট পংকজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট এখন ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কর্মী সংখ্যা প্রায় ৬০০। মাত্র ৫০ জন সদস্যের ২৫ টাকার মূলধন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ক্রেডিট বর্তমানে খ্রিষ্টানদের অন্যতম বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের সকল ধাপের চাহিদা মেটাতে রয়েছে ৮৬টি প্রডাক্ট ও প্রকল্প। আমাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আমাদের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের নতুন চমক হলো ঢাকা ক্রেডিটের ডিজিটালাইজেশনের ধাপের সাথে যুক্ত হয়ে আর্থিক বছরের শুরুতেই সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব সফট্ওয়্যার ব্যবস্থাপনা শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিট আধুনিকায়নের ধারায় মিশে ঢাকা ক্রেডিট অ্যাপ, এমএফএস, এটিএম সার্ভিসসহ নানা ধরনের উন্নত প্রযু্িক্তর সাথে যুক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার, রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, বান্দুরায় গেস্ট হাউজসহ বহুমুখী প্রকল্প, বিউটি পার্লার ও ট্রেনিং সেন্টার, সমবায় বাজারসহ নানা ধরনের কর্মদ্যোগ আপনারা বিগত সময়েই অবগত হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন। ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াং-এর নাম চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সকল মানুষের সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে বিশেষত সমবায়কেন্দ্রিক গবেষণা, উচ্চশিক্ষায় ছাত্র/ছাত্রীদের সহায়তা প্রদান, কারিগরি ও দক্ষতা বৃদ্ধি, যুব ও নারী উন্নয়ন, দরিদ্র মানুষের জন্য আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’ এ সময় তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞা ও অভিনন্দন জানান।
বিশেষ অতিথি নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো:হারুন-আর-রশিদ বিশ্বাস বলেন, ‘যখন শুনি বিভিন্ন সমবায় সমিতি শুরু হয়ে কিছু দিনের মধ্যে নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে বা অর্থ লোপাট করেছে, তখন খারাপ লাগে। আবার যখন শুনি ঢাকা ক্রেডিটের মতো প্রতিষ্ঠান অনেক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে, তখন গর্বে বুকটা ভরে যায়। ঢাকা ক্রেডিট সব সময় অন্য ক্রেডিটের অনুসরণীয় হয়ে উঠেছে। মাত্র ৫০ জন ব্যক্তি ২৫ টাকা দিয়ে একটি সমিতি শুরু করে এবং তার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৪ হাজার আর সম্পদ হলো ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা। কতটা সুচিন্তিত ও সততার সাথে পরিচালনা করলে এতটা উন্নয়ন করা যায়, তা ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম দেখেই অনুমান করা সম্ভব। আজ আমরা ঢাকা ক্রেডিটের জন্মদিন পালন করছি, এই দিনে সমবায়ের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
এ ছাড়াও অন্যান্য বক্তারা ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রমে ভূঁয়শী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট যে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেন, এটাই মূলত ঢাকা ক্রেডিটের উন্নয়নের মূলমন্ত্র। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকা ক্রেডিট সদস্যদের উন্নয়নে অভ‚তপূর্ব ভ‚মিকা পালন করছে। আজ সমবায় অঙ্গনে ঢাকা ক্রেডিট একটি গর্বিত নাম। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সম্ভব হয়েছে ঢাকা ক্রেডিটের সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষ পরিচালনার গুনে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের নিজস্ব সফট্ওয়্যার (ইআরপি)-এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি আহ্বান জানান, সকল সমবায় প্রতিষ্ঠান যেন সুরক্ষিত এবং সমবায়বান্ধব এই সফট্ওয়্যার ব্যবহার করে। এ সময় অতিথিগণ কেক কেটে সমিতির জন্মদিনের আনন্দ সহভাগিতা করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সেরা উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান, ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সমবার্তা প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন এবং বিশেষ গীতি আলেখ্য প্রদর্শিত হয়।
সেরা উদ্যোক্তা সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (লজিস্টিক প্রোভাইডার) বাবু মার্কুজ গমেজ, প্রেস ব্যবসায়ী লিংকন গমেজ, সমন্বিত খামারী রোমিও নিকোলাস গমেজ, কসমেটিক্স ব্যবসায়ী লিটন গমেজ এবং পার্লার ব্যবসায়ী লফিকা মারাক দিশা।
শেষে সমিতির ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস ধন্যবাদ বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় তেজগাঁও চার্চে বিশেষ খ্রিষ্টযাগ এবং প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি ও প্রয়াত কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৩ জুলাই পুরান ঢাকার ল²ীবাজারে বিদেশী মিশনারী ক্রেডিট ইউনিয়নের জনক ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান সমাজের সবচেয়ে বড় এবং উন্নয়নের গর্বিত নাম। আর্থিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার।
বহু দশক ধরে খ্রিষ্টান সমাজের আর্থিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে ঢাকা ক্রেডিট অগ্রগামী ভ‚মিকায় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে শুধু খ্রিষ্টান সমাজ নয়, এর বাইরেও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঢাকা ক্রেডিট কার্যক্রম বিস্তার করেছে। যার মাধ্যমে সূচিত হচ্ছে অংশিদারিত্ব, আন্তঃসম্পর্ক ও সংলাপ এবং উন্নয়নের স্রোতধারা।
২২ জনের ব্যবস্থাপনা পরিষদের নেতেৃত্বের ফলস্বরূপ বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের নতুন নতুন প্রডাক্ট, সেবা ও প্রকল্পের উদ্ভাবন ঘটে। প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে রয়েছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকার সম্পদ-পরিসম্পদ, ৯টি নিজস্ব ভবন, ১২টি সেবাকেন্দ্র, ২০টি কালেকশন বুথ, ৮৬টি প্রডাক্টসেবা ও প্রকল্প, প্রায় ৫৫০ জন কর্মী এবং ৪৪ হাজার গর্বিত সদস্য। যুগোপযোগী সদস্যসেবা ও কর্মসম্পাদনের লক্ষে ঢাকা ক্রেডিটের রয়েছে ১৮টি বিভাগ।
ঢাকা ক্রেডিটের নানামুখি সেবা প্রদানের জন্য প্রায় ৫৩টি উপ-কমিটি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে উপদেষ্টা কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, নারী কমিটি, যুব কমিটি, শিক্ষা কমিটি ইত্যাদি। ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম ঢাকা শহরকেন্দ্রিক শুরু হলেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক প্রয়োজন ও সেবা নিশ্চিতের লক্ষে বর্তমানে এর কার্যক্রমের ব্যুাপ্তি ঘটেছে ৪টি জেলায়: ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জে।
ঢাকা ক্রেডিট কার্যক্রমের সফলতার চ‚ড়ান্ত সীমায় বিচরণ করে শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমবায়ের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ৩০০ শয্যার ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল। এ ছাড়াও রয়েছে ডিসি রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুল, আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার, ডিসি বিউটি পার্লার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, বান্দুরা বহুমুখী প্রকল্পের অধিনে গেস্ট হাউস, ট্রেনিং সেন্টার, কনফারেন্স হল, কমিউনিটি সেন্টার, ডিসি জিম, সমবায় বাজার, কালচারাল একাডেমি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার নিমিত্তে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও লোন, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী নারীদের জন্য সাধনপাড়া, মণিপুরীপাড়া ও নদ্দায় ৩টি আবাসিক হোস্টেল, ডিসি সিকিউরিটি সার্ভিস, স্পেশাল ইংলিশ কোর্স, ওঊখঞঝ, ম্যাকার্থী লাইব্রেরি, জব লিংকিং সেল, সেলাই ও চাইনিজ রান্না প্রশিক্ষণ, স্বল্পমূল্যে মেডিকেল সেবা ও এম্বুলেন্স সার্ভিসসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সেবা প্রদানের লক্ষে আরো অনেক প্রকল্প।
ঢাকা ক্রেডিট ডিজিটালাইজেশনের পথে অগ্রসর হয়ে ইতিমধ্যে শুরু করেছে নিজস্ব সফট্ওয়ার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, যা ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির নিরাপত্তায় স্বল্পমূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। রয়েছে নিজস্ব অ্যাপ সেবা, যেখানে এমএফএস, সংবাদ, নোটিশ, প্রকল্প সেবাগ্রহণ, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের ব্যবস্থাসমূহ সন্নিবেশিত রয়েছে। এমএফএস-এর মাধ্যমে সদস্যরা এখন অফিসে না এসেও বিভিন্ন ধরণের সেবা- ব্যক্তিগত তথ্য, মানি ট্রান্সফার, ঋণ পরিশোধ, জামিনদারের তথ্য, এটিএম সার্ভিসে কিউআর কোড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনের মতো আধুনিক ও স্মার্ট সুবিধা। উল্লেখযোগ্য একটি সুবিধা হলো নিয়মিত সদস্যরা এই সার্ভিসের মাধ্যমে অফিসে না এসে যেকোনো সময় ইনস্ট্যান্ট লোন গ্রহণ করতে পারবেন। ঢাকা ক্রেডিটের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোতে রয়েছে ২৪ ঘন্টার এটিএম সার্ভিসের সুব্যবস্থা।
সদস্যদের সঞ্চয়ী হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে রয়েছে সাধারণ সেভিংস, দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প, মিলিওনিয়ার ডিপোজিট স্কীম, শিশু-কিশোরদের জন্য বী-সেভার্স ও স্মার্ট-সেভার্স, বিবাহ সঞ্চয় প্রকল্প, ডাবল ডিপোজিট স্কীম, অবসর জীবনের নিরাপত্তার জন্য পেনশন বেনিফিট স্কীম (পিবিএস) ইত্যাদি।
সদস্যদের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক বুনিয়াদ মজবুদ করণের লক্ষে প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সর্বোচ্চ সাধারণ ঋণ ৩৫ লক্ষ ও শিল্প ঋণ ১০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সাধারণ ঋণ, বাড়ি নির্মাণ ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, উচ্চশিক্ষা ঋণ, ক্রেডিট সিলিং ঋণ, টপ-আপ ঋণ, বিভিন্ন সঞ্চয়ের বিপরীতে ঋণ, গাড়ি ক্রয় ঋণ, ভোক্তা ঋণ, উচ্চশিক্ষা সাপোর্ট ঋণ, সলভেন্সি ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ ইত্যাদি।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে ঢাকা ক্রেডিট ‘দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিমিটেড (কাল্ব)’ প্রতিষ্ঠা করা হয়, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সেবা প্রদানের লক্ষে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়াও কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস (কাককো) লি: প্রতিষ্ঠায়ও ঢাকা ক্রেডিট অগ্রণী ভ‚মিকা রেখেছে। ঢাকা ক্রেডিট ইতিমধ্যে বহুবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে।