শিরোনাম :
কক্সবাজারে ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা সফর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ডিসিনিউজ।। সিনথিয়া ক্রুশ।। কক্সবাজার
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা সফর-২০২২ এবং সেই সাথে অনুষ্ঠিত হলো জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১২-১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মীবৃন্দ কক্সবাজারে শিক্ষা সফরে যান। পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এই শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ১৩ আগস্ট বিজনেস সেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানগুলো সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বিজনেস সেশনে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে ঢাকা ক্রেডিটই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা নিজেদের সফট্ওয়্যার ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম শুরু করেছে। ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই সফট্ওয়্যারের ব্যবহার করে লাভবান হবে। এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের কাঠামোগত নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতেই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের উৎপাদশীল খাতে ঋণগ্রহণ করে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমরা ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি উৎপাদনশীল ও আয়মূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় সকলকে এক সাথে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন টমাস রোজারিও বলেন, ‘আমেরিকা বা ইউরোপ ৫ শতাংশ গ্রোথ রেট অর্জন করলে তা অনেক বড় করে দেখে। দক্ষিণ এশিয়া বা আফ্রিকার মতো মহাদেশে ৬-৭ শতাংশ গ্রোথ রেট হলেও আমাদের জন্য বড় অর্জন। বাংলাদেশ ৬-৭ শতাংশ গ্রোথ‘ রেট অর্জন করে চলেছে। পৃথিবীর কোন দেশ যদি ১০ শতাংশ গ্রোথ রেট অর্জন করে, তা অনেক বড় সক্ষমতা। সেখানে ঢাকা ক্রেডিট বিগত ১৫ বছর ধরে ১৫-১৮ শতাংশ গ্রোথ রেট অর্জন করে চলেছে। ঢাকা ক্রেডিট অতি দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যতটা উচ্চতায় চলে যাচ্ছি, ততটা অজানাকে জানতে পারছি। অজানাকে জানতে গিয়ে আমাদের অনেক বেশি ভয় এবং সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছি। ভয়কে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান উপদেষ্টা নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আমরা একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই, যা দেখে অন্যান্য সমিতি আদর্শ ধারন করবে। কেউ আপনাকে কাজ শিখিয়ে বা করে দিবে না। তা আপনার নিজেকেই করতে হবে। আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে সকলকে এক সাথে কাজ করে যেতে হবে।’
ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘একটা বড় সমবায় সমিতির ফোরামে জানতে চেয়েছিল কোন সমবায় প্রতিষ্ঠান কোভিডের সময় কি করেছে। তখন আমি গর্ব করে বলেছিলাম, আমরা সদস্যদের জন্য খাদ্য শস্যের ব্যবস্থা, কমোডিটি লোন, টেলিমেডিসিনসহ বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলাম। করোনা মোকাবেলায় সদস্যদের পাশে থেকে আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছিলাম।’
‘এ ছাড়াও আমরা সদস্যদের প্রয়োজন মেটাতে ইনস্ট্যান্ট লোন শুরু করেছি। যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময় ১০ হাজার টাকা অ্যাপের মাধ্যমে সদস্যরা গ্রহণ করতে পারে। আমরা সদস্য এবং কর্মীদের জন্য সব সময় সেরাটি দেওয়ার চেষ্টা করি। বিগত দিনে আপনারা আমাদের সাথে ছিলেন, আগামীতেও থাকবেন এই প্রত্যাশা করি’ বলেন সেক্রেটারি কোড়াইয়া।
বিজনেস সেশন শেষে কর্মীদের অংশগ্রহণে এক জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি সকলেই উপভোগ করেন। এদিন আন্দন বাড়িয়ে দিতে লটারী ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাসের ধন্যবাদ বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা ক্রেডিট প্রতি বছর কর্মীদের রিফ্রেস ও পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। এর জন্য প্রতি বছর ঢাকা ক্রেডিট শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকে। এই বছর ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ কক্সবাজারে শিক্ষা সফরের যান।