শিরোনাম :
একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প
https://www.youtube.com/watch?v=j29QjlRD3Hw&t=3s
একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প (ভিডিও)
ক্যাথরিন ডলি গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের একজন সদস্য। সদস্য নং- ২৮৩৮২; তার গ্রামের বাড়ি মোলাশীকান্দা, হাসনাবাদ মিশন। তার স্বামীর নাম নিকোলাস সত্য গমেজ। তার ছেলের নাম মাইকেল জ্যাকি গমেজ, তিনি আলফালা ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তার মেয়ের নাম বার্নাডেট জেনেটি গমেজ, তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।
বেশ কয়েক বছর আগে, তার স্বামী বিদেশে কর্মরত ছিলেন। যখন উনার মেয়ের এক বছর বয়স, তখন তার স্বামীর মারাতœক একটি দুর্ঘটনা ঘটে বিদেশের মাটিতে, এর কারণে তার স্বামীর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়। স্বামী বাংলাদেশে ফিরে আসার পরই তার জিবনে শুরু হয় আসল চ্যালেঞ্জ। তিনি তার স্বামীকে আর বিদেশে যেতে দেন নি। পরিবারের খরচ চালানোর জন্য তিনি ব্যবসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
প্রথমে তিনি শুরু করেছিলেন ¯œ্যাক্স খাবারের ব্যবসা। বান্দুরা হলিক্রস স্কুলের সামনে হলিপ্লাজা মার্কেটে তিনি শুরু করেন তার প্রথম ব্যবসা ‘হলি ক্যাফেটারিয়া’। সেখানে তিনি সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ধীরে ধীরে তিনি সেখানে মুদির ব্যবসা এবং একটি মুরগির ফার্মের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে তার প্রয়োজন হয় বৃহৎ পুজিঁর।
তিনি ঢাকা ক্রেডিট থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা, সাধারণ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি জানান যে এই ঋণের জন্য মাত্র ৩০% শিউরিটি জামিন হিসাবে যোগাঢ় করতে হয়, বাকি ৭০% শিউরিটি ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দেওয়া যায়। ঋণ গ্রহণের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা ঋণ ফর্মে সুন্দরভাবে লেখা ছিল এবং সেই অনুযায়ী সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে তিনি ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋণ পান।
এই ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে তিনি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। হলিপ্লাজা মার্কেটে তার কাপড়ের দোকানের নাম ‘স্বপ্নপুরী বস্ত্রালয়’। তিনি নিষ্ঠা এবং পরিশ্রমের সাথে তার কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার ব্যবসা খুবই ভালো চলতে থাকে। তিনি জানান যে ঢাকা ক্রেডিট থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋণের কিস্তি তিনি ‘স্বপ্নপুরী বস্ত্রালয়’ Ñ তার কাপড়ের ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত প্রতি মাসের লাভের টাকা থেকে প্রদান করেন।
তিনি আরোও জানান যে ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে তিনি এবং তার পরিবার অনেক উপকৃত হয়েছেন। ঢাকা ক্রেডিটের ছাত্রী হোস্টেলে তার মেয়ে থাকতেন বলে জানান তিনি। ঢাকা ক্রেডিটের উচ্চশিক্ষা ঋণের মাধ্যমে তার ছেলের বউ পড়াশুনা করেন বলে জানান তিনি। এই ঋণ, পড়াশুনা শেষ করার পরে পরিশোধ করতে হয়। বিভিন্ন সময় ঢাকা ক্রেডিট থেকে ঋণ নিয়ে তিনি তার ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার খরচ চালিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরোও বলেন যে ঢাকা ক্রেডিটের ‘ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’ খুবই ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে খ্রীষ্টান সমাজের সকলে অনেক উপকৃত হবে। নিজে ‘ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’ নির্মাণ কাজ দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। এত বড় হাসপাতলের কাজ শুরু করার জন্য ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ জানান তিনি।