শিরোনাম :
ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিশেষ মেডিকেল চেক-আপ, শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচি
ডিসিনিউজ।।ঢাকা
রাজধানীর তেজগাঁও চার্চের তেজগাঁও কাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১জন মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বৃ্ত্তি প্রদান করেছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন।
১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের বৃ্ত্তি প্রদানের পাশাপাশি দুইশত শিক্ষার্থীকে ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। একই সাথে স্কুলের উন্নয়নের লক্ষে প্রধান শিক্ষক সিস্টার মেরি দীপ্তির নিকট দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান বাবু মার্কুজ গমেজ, ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং, সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, ফাউন্ডেশনের সদস্য পাপিয়া রিবেরু, তেজগাঁও চার্চের ফাদার সুব্রত বি. গমেজ, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন প্রমুখ।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা সবসময় চিন্তা করতেন। উনি প্রথমে দরিদ্র খ্রিষ্টান মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিলাভের জন্য ঢাকা ক্রেডিট গড়ে তুলেন এবং এরপর মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ সমাজের সকল মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্রেডিট ইউনিয়ন গড়ে তুলেন। করোনাকালে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সমাজের সকল সমাজের মানুষের মধ্যেই আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। আজ তেজগাঁও কাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১জন মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বৃ্ত্তি প্রদান করছে এবং প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে বিশেষ মেডিকেল চেক-আপ প্রদান করবে। ভবিষ্যতেও চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন সকল মানুষের সেবায় পাশে থাকবে।
ভাইস-চেয়ারম্যান বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের লক্ষই হচ্ছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, এর মাধ্যমে আমাদের দেশ, জাতি, সমাজ এগিয়ে যাবে। ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা ক্রেডিট ‘ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লিঃ’ নির্মাণ করেছে, যার উদ্ভোধন আগামী ১৬ এপ্রিল। আমি আশা করি আজ থেকে ১৫ বছর পর এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লিঃ -এ ডাক্তার বা নার্স হিসেবে সেবা প্রদান করবে।
ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ফাউন্ডেশনটি ২০১৯ সাল থেকে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।