শিরোনাম :
অনুষ্ঠিত হলো কাককো লি:’র বার্ষিক সাধারণ সভা
ডিসিনিউজ।। ঢাকা
অনুষ্ঠিত হলো দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রিস্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লিমিটেডের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা।
কাককো’র চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিবন্ধক ড. তরুন কান্তি শিকদার। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ ওএমআই। বার্ষিক সাধারণ সভার সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন।
আজ (১১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সিবিসিবি সেন্টারে সদস্য সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম-নিবন্ধক শেখ কামাল হোসেন, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও কাককো লি:’র প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, কাককো লি:’র চ্যাপলেইন ড. ফাদার লিটন গমেজ সিএসসি, খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান অপূর্ব যাকোব রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজসহ আরো অনেকে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ড. তরুন কান্তি বলেন, ‘আজ স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমবায় দর্শন নিয়ে সমবায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সমবায় সমিতিতে দুই পক্ষের একটি লেনদেন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে হয়। এর আগে ডেসটিনি, যুবকের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। তাই সরকারের কিছু আইন প্রয়োগ করতে হয়েছে। আপনারা বলতে পারেন, আমরা খ্রিষ্টানরা তো ভাল, তাহলে আমাদের কেন আইন দিয়ে বাঁধতে হবে! আসলে আইনগুলো তৈরি হয়েছে সামাঞ্জস্য ধরে রাখতে।’
গেস্ট অব অনার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ বলেন, ‘ফাদার চার্লস জে. ইয়াং অনেক ভালবেশে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি একজন খ্রিষ্টান যাজক ছিলেন। ফাদার ইয়াং খ্রিষ্টের ভালবাসা ও আদর্শে এই ক্রেডিট ইউনিয়নের যাত্রা শুরু করেন। কাককো লি: খ্রিষ্টের সেই আদর্শেই কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যেন নেতৃত্ব দিতে গিয়ে খ্রিষ্টের আদর্শের পথ থেকে বিচ্যুত না হই। তাহলে খ্রিষ্টান সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমাদের দায়িত্ব খ্রিষ্টের প্রকৃত শিষ্য হয়ে সমাজ পরিচালনা করা।’
সভাপতি পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে শুরু দিকে ক্রেডিট ইউনিয়নসহ সকল সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ছিল খুবই ধীর গতিতে। সদস্যরা সীমিতভাবে মূলধন জমা করতো। বর্তমান সময়ে সমিতির কার্যক্রম বেড়েছে। অনেক সমবায় প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়াতে মূলধনও বেড়ে যাচ্ছে। সাথে ঝুঁকিও বাড়ছে। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি ও সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন দক্ষ ও বিচক্ষণ লিডারশীপ। কাককো লি: বিভিন্ন সময়বায় সমিতির অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য সমিতির প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কাককো লি: উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করছি।’
এ দিন সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয়, সমবায় এবং কাককো লি:’র পতাকা উত্তোলন, আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষণা, বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন, ব্যবস্থাপনা পরিষদের কার্যক্রম প্রতিবেদন পাঠ ও অনুমোদন, আর্থিক প্রতিবেদন পেশ ও অনুমোদন, প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন, ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ, নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও গ্রহণ, উপ-আইন সংশোধনী, সংশোধিত চাকরি বিধি ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুমোদন, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষের প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন হয়।
শেষে প্রতিষ্ঠানের ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তার ধন্যবাদ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা সমাপ্ত হয়।