শিরোনাম :
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জন গমেজ
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেলেন ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জন গমেজ। ২৫ জুন, বিকেল ২ টা ৪০ মিনিটের পাগারে নিজ বাসভবনে তিনি প্রাণত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছিলেন।
২৬ জুন সকাল ১০ ঘটিকায় পাগাড় গির্জায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পবিত্র খ্রিষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষ থেকে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং, ডিরেক্টর ষ্টেলা হাজরা, মনিকা গমেজ, ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি সুহৃদ গমেজ, সদস্য মারিয়া ডি’কুনা, ঢাকা ক্রেডিটের অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশনসহ ঢাকা ক্রেডিটের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ জন গমেজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিষ্টযাগে অংশগ্রহণ করেন এবং তাকে সমাহিত করার পর তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।
জন গমেজ দুই মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০১৯ এবং ২০১৯ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা ক্রেডিট পরিবার। ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া এবং সেক্রেটারি জন মাইকেল গমেজ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘জন গমেজ ছিলেন একজন নির্ভীক নেতা। তিনি ঢাকা ক্রেডিটে দায়িত্বপালনকালে বিচক্ষনতা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে ঢাকা ক্রেডিট পরিবার সত্যিই শোকাহত। ঈশ্বর তার আত্মাকে শান্তি প্রদান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। তারা যেন, এই শোক সইবার শক্তি পায়।’
জন গমেজ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই পাগারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এডওয়ার্ড গমেজ ও মা বৃজেট গমেজ। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীতে এফজি সুপারভাইজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী জয়ন্তী গমেজ ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।
জন গমেজ নেতৃত্বগুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি পাগার সমিতির চেয়ারম্যান, ঢাকা খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটির ডিরেক্টর, পাগাড় যুব সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো রিক্রেশন ক্লাবে গেম সেক্রেটারি ও পাগাড় প্যারিস কাউন্সিসলের সদস্য হিসেবে সেবা দিয়েছেন।