শিরোনাম :
ভারতের মনিপুর রাজ্যে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
ডিসিনিউজ।।ঢাকা
“আপনাদের উদ্বেগ, উৎকন্ঠার কথা আমরা দিল্লীকে জানাবো। দিল্লী এ বিষয়ে অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” ভারতীয় হাই কমিশনের মিনিস্টার শ্রী রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রী মনিপুর রাজ্যে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই ভারতে সকল ধর্ম, বর্ণ এবং জাতিগোষ্ঠির মানুষ সহঅবস্থান ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করুক। আমাদের সরকার এই বিষয়ে সর্বদাই সর্তক এবং সচেতন রয়েছে।”
২ আগস্ট, বিকেল ৫ টায় ভারতের মনিপুর রাজ্যে খ্রিস্টানদের উপর পরিচালিত হত্যাকান্ড, অমানবিক নির্যাতন-নিষ্পেষণের বিষয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাই কমিশনের মিনিস্টার শ্রী রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রী-এর সাথে স্বাক্ষাৎ করেছেন। অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুশ, ওএমআই, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং কাক্কো লিঃ এর চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা, এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও। এছাড়াও, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। প্রতিনিধি দলটি এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা বরাবরে বাংলাদেশের ক্যাথলিক মন্ডলী এবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২টি প্রতিবাদ লিপি হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলটি আশা প্রকাশ করেছেন ভারত সরকার মনিপুরে সংঘটিত বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড, নির্যাতন-নিষ্পেষণের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চত করবেন এবং সকল পক্ষকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে সেখানে শান্তি ও সহবস্থান নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, ভারতের মনিপুর রাজ্যে মে মাসে শুরু হওয়া সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০ জন মানুষ নিহত ও ৪০০ জন মানুষ আহত হয়েছে। অবস্থা এতটাই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে যে, সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ সহিংসতা দমন করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিজেদের ঘরছাড়া হয়েছে। পুলিশের অস্ত্রাগার লুট করা হয়েছে। শত শত চার্চ, কয়েক ডজন মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। বহু গ্রামে চালানো হয়েছে হামলা।