শিরোনাম :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবাষির্কী, জাতীয় শোক দিবস পালন ও প্রার্থনানুষ্ঠান
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
পালন করা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম সাহাদাত বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এবং তাঁর ও পরিবারের নিহতদের আত্মার কল্যাণ কামনায় তেজগাঁও চার্চে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন এক প্রার্থনানুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকাল ৬টায় তেজগাঁও চার্চের সহকারি পাল-পুরোহিত ঝলক দেশাই বিশেষ খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন। এ দিন খ্রিষ্টযাগে কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও’র নেতৃত্বে এসোসিয়েশনের যুগ্ম-সচিব সুব্রত হাজরা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, এসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, সদস্য মলয় নাথ, অরুনেশ বাড়ৈ, কাককো লি:’র সিইও ডমিনিক রঞ্জন পিউরিফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর মনিকা গমেজ, ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজসহ আরো অনেকে প্রার্থনানুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় অংশ নেন।
খ্রিষ্টযাগে ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকলের আত্মার চিরকল্যাণ কামনা করা হয়। এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে ট্রাস্টি সবিচ ও এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও সকলকে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘আজ আমাদের অতি দুঃখের দিন। ৭১’র ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাস ভবনে সপরিবারে তাঁদের হত্যা করে। সেই বেদনা বাঙালি জাতি সারা জীবন বয়ে বেড়াবে। যদিও হত্যার সাথে জড়িতদের মৃত্যুদন্ড ও কারাদন্ড দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মহান নেতাকে হারিয়ে বাঙালি জাতির একটি ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, যা কখনোই মুছবার নয়।’
‘শুধু সেনা সদস্যরাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়, তাদের পেছনের যারা ছিল, যেসকল দুষ্কৃতিকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের তালিকা করে প্রকাশ করা উচিত। সেই সকল ঘাতকদের সকল প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত করে রাখা উচিত’ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
এদিন ট্রাস্টের ও এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর ও পরিবারের নিহতদের আত্মার কল্যাণ কামনা করেন।
‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাস ভবনে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সবাইকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়। কিছু দুষ্কৃতিকারী সামরিক সেনা সদস্য এ দিন নির্বিচারের বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় দু’জনকে হত্যা করতে পারেনি। স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতার এই মৃত্যুদিনটিকে বাঙালি জাতি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।