শিরোনাম :
ঢাকা খ্রীষ্টিয়ান বহুমুখী সমবায় সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা খ্রীষ্টিয়ান বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা।
১২ জুলাই সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির চেয়ারম্যান ডা. বিনয় গোস্বামীর সভাপতিত্বে সকল সদস্যদের অংশগ্রহণে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা সংরক্ষিত আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অনিমা মুক্তি গমেজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সর্দার, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকনসহ আরো অনেকে।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও ঢাকা ক্রেডিটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সাধারণ সভার কর্মসূচী অনুযায়ী অতিথিদের আসনগ্রহণ, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
সাধারণ সভার সভাপতি ডা. বিনয় গোস্বামী সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমিতির ৪১ বছরের ইতিহাসে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরেন। তিনি সমিতির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সম্মানিত প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘গতানুগতিক ঋণ দিয়ে বর্তমানে সমবায় সমিতি পরিচালনা এখন সম্ভব নয়। তাই উৎপাদনমুখী খাতে ঋণ দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। আয়মূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা এখন বতর্মান সমাজে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে সেই সাথে সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হচ্ছে।
তিনি বলেন ৪১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা মানে সহজ কিছু নয়, অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই সমিতি আজকে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আমাদের খ্রিস্টীয় সমাজে আমাদের উচিত সকল ভেদাভেদ ভুলে একত্রে কাজ করা । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পর এই দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার লক্ষে তিনি সমবায়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ।আমরা সপ্ন দেখি ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। যার জন্য সমবায়ের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে ঢাকা খ্রীষ্টিয়ান বহুমুখী সমবায় সমিতির সকল গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রমে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উত্তোরত্তোর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সাধারণ সভায় দিনের কার্য অনুযায়ী বার্ষিক হিসাব-নিকাশ, ঋণদান কমিটির প্রতিবেদন, অডিট কমিটির প্রতিবেদন ও লটারী পর্বের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শেষে সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান সমুয়েল সরকার সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।