শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার কল্যাণার্থে ও আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ প্রার্থনা
সরকারী চাকুরীতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের আত্মার কল্যাণে দেশের বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্যও প্রার্থনা করা হয়।
৪ আগস্ট, রবিবাসরীয় খ্রীষ্টযাগে দেশের বিভিন্ন গির্জায় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ এদিন বিশেষ খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন।
খ্রীষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সচিব ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪ আগস্ট, তেজগাঁও গির্জায় আবারো আন্দোলনে নিহতদের আত্মার কল্যাণার্থে ও আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করার আহ্বান করা হয়।
৮ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈষ্ণম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।
সংগঠিত আন্দোলনে যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থী।
নিহতদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনানুষ্ঠানে পরে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় নির্মল রোজারিও ডিসিনিউজকে বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্যলাভের জন্য প্রার্থনা করি।
রোজারিও শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে যুক্তিসংগত উল্লেখ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করে এই নাশকতা এবং হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, আমরা এর তিব্র নিন্দা করি। একই সাথে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।”
আন্দোলনের পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৫%, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য ১%, প্রতিবন্ধি ও তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য ১% কোটা ধার্য করে রায় দেয়। এর আগে সরকারি চাকুরীতে মোট ৫৬% কোটা বহাল ছিল।