ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ খ্রিষ্টানসহ অন্যান্যদের উপর হামলায় নিন্দা জানান ঢাকা ক্রেডিটের নেতৃবৃন্দ

খ্রিষ্টানসহ অন্যান্যদের উপর হামলায় নিন্দা জানান ঢাকা ক্রেডিটের নেতৃবৃন্দ

0
154
সরকার পতনের পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

ডেস্করিপোর্ট।। ঢাকা।। বৈষ্ণম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতনের আগে ও পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের স্থাপনার সাথে আক্রান্ত হয়েছে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) এর নারায়নগঞ্জে অবস্থিত কালেকশন বুথ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং হামলা হয়েছে কারিতাস বাংলাদেশের খুলনা আঞ্চলিক অফিস ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান ও হিন্দুদের স্থাপনা।

৫ আগষ্ট, সরকার প্রধান শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগের পরে একটি ক্রচক্রী মহল ঢাকা ক্রেডিটের নারায়নগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত কালেকশন বুথ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়। এর আগে ৪ আগষ্ট, কারিতাস বাংলাদেশের খুলনা আঞ্চলিক অফিসে ভাংচুর করে।

ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের আচকিপাড়া, নাজিরপুরে গারো আদিবাসী বাড়িতে হামলা হয়।

উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের দেয়া তথ্য মতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওয়ানপাড়ায় আদিবাসী পাড়া, যুগিডাং আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়, নওয়া জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাদাপুর আদিবাসী সান্তাল সম্প্রদায়ের রঞ্জিত, পতœীতলা উপজেলার রাউতাড়া গ্রাম, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর ও ধামরইহাট গ্রামে বিভিন্ন ভাবে আদিবাসীদের পরবারে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও দিনাজপুর জেলার কাহারোল, পার্বতীপুর উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশৈংকল উপজেলার কালুগাঁও এ আদিবাসী সাঁওতাল গ্রামে উচ্ছেদের হুমকি দেয়া হয়।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও সেক্রেটারী মাইকেল জন গমেজ এই সমস্থ হামলার তিব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ও তাদের স্থাপনার উপর হামলা বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানান।

দেশের বিভিন্ন গির্জা, পূজামন্ডপসহ সংখ্যালঘুদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ যে সমস্ত ইসলাম ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা রাতের বেলায় পাহাড়া দিচ্ছে তাদের ধন্যবাদ জানান ঢাকা ক্রেডিটের নেতৃবৃন্দ।

কারিতাস খুলনা অঞ্চলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিসিনিউজবিডিকে বলেন, “৪ আগষ্ট বিকেলে হঠাতই একদল দৃর্বৃত্ত লাঠি নিয়ে কারিতাস আঞ্চলিক অফিসের পাশের এলজিইডি ভবনে হামলা করে। এর পরে তারা কারিতাস অফিসে ঢুকে নিচ তলার বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, দরজা-জানালা ভাংচুর করে।”

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন স্থাপনা, মন্দির ভাংচুর করা হয়।

বৈষ্ণম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে মিডিয়াকে বলা হয়, এই সমস্ত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তারা দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।