শিরোনাম :
ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে প্রাক-বড়দিন উদযাপন
ডিসিনিউজবিডি।। গাজীপুর
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) এর মেগা প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি: এর কর্মী, ডাক্তার, ডিভাইন মার্সি নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থী, হাসপাতালটির পরিচালনা পরিষদের সদস্য, ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ প্রাক বড়দিন উদযাপন করেন।
২১ ডিসেম্বর, গাজীপুর জেলাধীন মঠবাড়িতে অবস্থিত ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লিমিটেড উদ্বোধনের পরে প্রতিষ্ঠানটির সকল স্তরের কর্মী ও পরিচালনা পরিষদ একত্রে প্রতিষ্ঠানের চ্যাপালে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করেন।
প্রাক-বড়দিন উদযাপনের শুরুতে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও বড়দিনের তাৎপর্য উপস্থিত সকলের মাঝে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, যীশুখ্রীষ্ট আমাদের অন্ধকারের পৃথিবীতে আলো জ¦ালাতে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানের পৃথিবীতে আছে বৈষ্ণম্য, আছে পরাধীনতা। কিন্তু যীশু এই পরাধীনতা থেকে মুক্তি দিতে এসেছেন। তিনি এসেছেন মানুষকে মুক্তি দিতে, সুস্থ করতে।
কার্ডিনাল আরো বলেন, “বড়দিন আমাদের জন্য মুক্তির দিন। একদিকে বিশ্বাসের উৎযাপন অন্যদিকে যা আছে তার উৎযাপন করছি। পরম করুণাময় আমাদের ব্যবহার করছেন তার হাতিয়ার হিসেবে, মানুষের মুক্তি দিতে, মানুষকে সুস্থ করতে।”
প্রাক বড়দিন উৎযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও হাসপাতাল কমিটির সদস্য বাবু মার্কুজ গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার সুকুমার লিনুস ক্রুজ, হাসপাতালের এমডি লিটন টমাস রোজারিও ও সিইও ডা. আহমেদ শফিকুল হায়দার, ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তাগণসহ হাসপাতালের উর্ধ্বতনকর্র্মীবৃন্দ।
ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া উপস্থিত সবাইকে আসন্ন বড়দিনের ও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা এই হাসপাতালটিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই এবং এটা সম্ভব এখানে যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন আপনাদের দ্বারা।
“আমরা অনেক এগিয়েছি, হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে চালু রয়েছে এবং সামনে আমরা মেডিক্যাল কলেজ করতে কাজ করছি। তাহলে আমরা চাই ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল বাংলাদেশ এবং দেশের বাইরেও একটা ব্র্যান্ড হবে, এক নামে সবাই চিনবে, সবাই সেবা নিতে আসবে। আর এই ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য আপনাদের সততার সাথে কাজ করেতে হবে।” বলেন চেয়ারম্যান কোড়াইয়া
অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান। হাসপাতালটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের সেবাকেন্দ্রে পরিণত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান।
যীশুখ্রীষ্টের আদর্শের কারণেই খ্রীষ্টানদের মধ্যে সেবার মনোভাব প্রকটভাবে ধারণ করে এবং এর প্রতিফলন ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল বলে অতিথিগণ মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই হাসপাতালটি হবে অসাম্প্রদায়িকতার একটা উদাহরণ, এখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সেবা করতে হবে এবং মানুষকে মানুষ হিসেবে সেবা করতে হবে।
বড়দিনের কেক কাটার পরে প্রাক বড়দিন অনুষ্ঠানে অংশনেয়া সকলে বড়দিনের অন্যতম অনুসঙ্গ কীর্তন ও পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।