শিরোনাম :
মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিটের বার্ষিক সাধারণ সভা
মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ৪৬তম বার্ষিক সাধারন সভা মাউসাইদ গির্জা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি, সমিতির সেক্রেটারি ডমিনিক কাজল ডি কস্তা এর পরিচালনায় চেয়ারম্যান পেপিলন হেনরী পিউরিফিকেশন এর সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মাউসাইদ সমিতির প্রতিষ্ঠা হতে এখন পর্যন্ত যারা সমিতির উন্নয়নকল্পে নিরলস ভাবে কাজ করে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন তাদের জানাই ধন্যবাদ।
বিশ্ব অর্থনীতি আজ টালমাটাল হয়ে পড়েছে কিন্তু এর মধ্যেই আমরা সমবায় সমিতি পরিচালনা করছি সফলভাবে এর অবদান আপনাদেরই বলেন চেয়ারম্যান পিউরীফিকেশন।
তিনি ঋন খেলাপীকে সমিতির উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালব এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাউসাইদ ধর্মপল্লির পাল পুরোহিত ডমিনিক সেন্টু রোজারিও, কাককো এর চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান সুমন জেমস ডি কস্তা, সেক্রেটারি সুহৃদ গমেজ, সদস্য মলয় নাথ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগষ্টিন পিউরিফিকেশন বলেন, সমবায় হলো সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ও জীবন মানের উন্নয়নের একটা রাস্তা।
তিনি বলেন, সমবায় আমাদের একত্রে পথ চলার পাথেয়, বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা।
হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, আমাদেরকে অর্থনৈতিক, মানবসম্পদ, পরিবেশ এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্বের সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বিনিয়োগ করতে হবে। আর এর জন্য আমাদের ক্রেডিট ইউনিয়ন গুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে।
পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, আমরা বেশি খরচে টাকা কিনে কম দামে বিক্রি করি, এই যে গ্যাপ এটা পুরনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, গতানুগতিক ভাবে যে সমিতি পরিচালনা করছি তাতে টিকে থাকা কষ্টকর। আমাদের উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে, আমাদেরকে ভালো প্রফেশনাল তৈরি করতে হবে আর এর জন্য আমাদের সমিতিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন দেশ গড়ার জন্য যুবদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি আশা করি তারা এই দায়িত্ব নিয়ে সমাজ ও জাতিকে গড়ে তুলবেন।
সদস্যদের মধ্য থেকে ঋন খেলাপি, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সমিতির মূলধন বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী প্রোডাক্ট প্রকল্প গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
নেতৃবৃন্দের কথায় আগামী দিনে একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উঠে আসে।