ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ইমেজ সংকট দূরীকরণে সব ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে: বাবু মার্কুজ

ইমেজ সংকট দূরীকরণে সব ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে: বাবু মার্কুজ

0
629

‘বর্তমানে ক্রেডিট ইউনিয়নগুলো দারুণ ইমেজ সংকটে রয়েছে। সেই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কৌশলগত ভিন্নতা থাকলেও কিছু বিষয়ে সব ক্রেডিট ইউনিয়নের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।’ বলে মন্তব্য করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।

তিনি শনিবার সকালে (৬ মে) ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:-এর ১ম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা কর্মশালায় তৃতীয় ও শেষ দিনে এ কথা বলেন। ঢাকার সাভার আশুলিয়ার সিসিডিবি হোপ সেন্টারে তিন দিনব্যাপী (৪-৬ মে) এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

02তিনি বলেন, পারষ্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বোর্ডকর্মকর্তা, সদস্য, কর্মী সবাইকে একসাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গত তিন দিন ধরে আপনারা যে মেধা, সময় ব্যয় করেছেন তার আলোকে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাক, উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করুক সেটাই চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো জিনিস আমরা যথেষ্ট উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই উদ্দীপনা আর থাকেনা। কাজেই শেষবোধি যেন আমাদের কাজের গতি থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার ক্রেডিট আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল; কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন, পর্যাপ্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা, পুরস্কার ও প্রণোদনা, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ফলো-আপ ইত্যাদি।

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:। এ কর্মশালার মাধ্যমে আগামী তিনবছরে প্রতিষ্ঠানটিকে শতকোটির প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নেওয়া হয়েছে নানামুখী পরিকল্পনা।

প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সমবায় ব্যক্তিত্ব, কর্মী ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষদের মতামত নিয়ে নেওয়া হয়েছে কৌশলগত পরিকল্পনা।

সাভার অঞ্চলের খ্রিষ্টানদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ১৯৬০ সালে ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিসম্পদের পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা। আগামী তিনবছরে পরিসম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটিতে রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালা।

আরবি/আরপি/৭ মে, ২০১৭