শিরোনাম :
আসুন বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি, সবুজ ঢাকার প্রচারভিযান উদ্ধোধন করে বাবু মার্কুজ
ঢাকা ক্রেডিট ও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওয়াইএমসি’র প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ সবুজ ঢাকা প্রচারভিযানের উদ্ধোধন করেছেন।
আজ (১৬ মে) সকালে ঢাকার তেজগাঁও বটমলী স্কুলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ প্রচারভিযানের উদ্ধোধন করেন। সবুজ ঢাকা নামে একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় তিনি স্মৃতিচারণা করে বলেন, অতীতের দিনগুলো ভীষণ মনে পড়ছে কারণ একসময় আমিও এই স্কুলের ছাত্র ছিলাম। এ সময় শিক্ষার্থীরা করতালি দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যে কোন ভাল কাজ তোমাদের দিয়ে শুরু হলে তার স্থায়ীত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয়। কারণ তোমরাই একদিন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, পরিচালনা করবে। তোমরা এগিয়ে এলে দুই কোটি মানুষের এই ঢাকা নগরী অনেকটাই দূষণমুক্ত হবে। ঢাকা সবুজের নগরীতে রূপান্তরিত হবে। পরিবেশ বিপর্যের দিকগুলো সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।তিনি বলেন, আশা করি সবুজ ঢাকা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা দূষণমুক্ত হবে এবং এই অভিযানে আমরাও আপনাদের পাশে আছি। আসুন বাসযোগ্য বাংলাদেশ ও পৃথিবী গড়ে তুলি। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নম্রতার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আগামী ১০ বছরে সে কেমন ঢাকা শহর দেখতে চাই! নম্রতার উত্তর, ছবির মতো, যেখানে সবুজে সবুজে ভরে উঠবে ঢাকা শহর এবং শৃংখলা মেনে যানবাহনগুলো চলাচল করবে।পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ বন্ধু গাছের চারা বিতরণ করা হয়। সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ঢাকা নগরী বিনির্মাণের লক্ষে ২০১৫ সালের ১ জুন ‘সবুজ ঢাকা’ নামে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ও সবুজ ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সংগঠনটি ঢাকা মহানগরীর ৪০ টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও ফলজ নার্সারী তৈরি করে দিবে। টিভি উপস্থাপিকা শান্তা জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বটমলী স্কুলের প্রিন্সিপাল সি: মেরি সীমা এসএমআরএ, সবুজ ঢাকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর গোলাম মোস্তফা রাজ ও দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা প্রমুখ। পরে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে পাঁচ বিজয়ীর মাঝে গাছের চারা এবং উপহার হিসেবে খাতা ও কলম প্রদান করা হয়।
সবুজ ঢাকা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, টেল প্লাস্টিক, সাপোর্ট ফেন্স ও প্লে টাইম টয়। (ছবি: সুমন সাংমা)
এসএস/আরপি/১৬ মে, ২০১৭