শিরোনাম :
যেভাবে বুঝবেন আপনার থাইরয়েড রোগ আছে কি না?
থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি গ্রন্থির নাম।এটি থাকে আমাদের গলার স্বরযন্ত্রের দুই পাশে।দেখতে প্রজাপতির ডানার মত।আর এর রঙ টা হল বাদামী।এই গ্রন্থির কাজ হল আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমন উৎপাদন করা। যদি কোন কারনে এই গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে কোন প্রকার বাতিক্রম হয় তখন তাকে থাইরয়েড রোগ (সাধারনত Hypothyroidism, তবে hyperthyroidism ও goiter ও হতে পারে) বলে।কিন্তু এ রোগটি সাধারন রোগের মত নয়।কারন এটির লক্ষনগুলো খুব ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।কিন্তু এর ফল অনেক বেশী ক্ষতিকর।আর এই রোগ খুব ধিরে ধিরে প্রকাশ পায় বলে বেশির ভাগ রোগী তা জানেই না যে সে এই রোগটা বহন করছে।অ্যামেরিকার মত উন্নত দেশে ২৭ মিলিয়ন থাইরয়েড রোগী আছে আর তার ৫০ ভাগের বেশী লোকই তা জানে না যে তার এই রোগ আছে।যেহেতু এর ফলাফল কিছু ক্ষেত্রে খুব মারাত্মক তাই আসুন জেনে নিই কিভাবে বুঝব আমাদের থাইরয়েড রোগ আছে কি না।
লক্ষ করি,
- নিচের ২ এর কম প্রশ্নের জবাব যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার থাইরয়েডভাল আছে।
- ২-৪ টি প্রশ্নের জবাব যদি হা হয় তাহলে আপনার থাইরয়েড রোগ আছে কিন্তু তা কম মাত্রায়।
- ৪ এর অধিক প্রশ্নের জবাব যদি হা হয় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার থাইরয়েড এর অবস্থা খুব খারাপ।
এখন নিচের প্রশ্নগুলোর সাথে আপনার জবাব মিলিয়ে নিন।
১। আপনার আঙ্গুলের নখগুলো কি পুরু ও ভঙ্গুর ?
২। ত্বক কি শুষ্ক ও চোখগুলো কি প্রায়ই জ্বালা করে ?
৩। হাত পা কি ঠাণ্ডা?
৪। গলার স্বর কি ভাঙ্গা?
৫। চুল কি মোটা, চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে বা পরে যাচ্ছে?
৬। আই ভ্রুর বাইরের দিক কি পাতলা হয়ে যাচ্ছে?
৭। ঘাম কি বেশী হয়?
৮। অল্পতেই কি খুব ক্লান্ত হয়ে যান?
৯। রজঃচক্র কি অনিয়মিত?
১০। যৌন বাসনা কি কমে গেছে?
১১। রজঃনিবিত্তি পরবর্তী অথবা PMS কি সাংঘাতিক ?
১২। হাত পা কি ঘন ঘন ফুলে যায়?
১৩। রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন কি ভাল না?
১৪। কোলেস্টেরল এর মাত্রা কি উচু?
১৫। কোন কিছু স্মরণ করতে বা মনঃসংযোগ করতে কি আপনার সমস্যা হয়?
১৬। আপাত কোন কারন ছারাই কি আপনার ওজন বারে অথবা কমে?
১৮। অবসাদ,খামখেয়ালীপনা, উদ্বেগ, খিটখিটে ভাব কি আছে?
১৯। পেশীর ক্লান্তি ,ব্যথা অথবা দুর্বলতা কি আছে?
২০। বিকিরন চিকিৎসার ঘটনা আছে কি?
২১। বিষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস আছে কি?
২২। পরিবারে আরও যেমন মা- এদের কারো কি থাইরয়েড সমস্যা আছে কি?
যদি ৪ এর অধিক প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে আর একদিন ও দেরি না করে আজই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া শুরু করুন।
তথ্যসূত্র : ইন্টারন্টে
আরবি/আরপি- ৩০ অক্টোবর, ২০১৬