শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীরা সততা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে : ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়ন এবং সহভাগিতা
কর্মীদের ঢাকা ক্রেডিটের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন ও সাফল্যের সৈনিক হিসেবে মনে করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। তিনি ঢাকা ক্রেডিটের উত্তরোত্তর যে উন্নয়ন হয়েছে তার পিছনে কর্মীদের নিরলস শ্রম এবং প্রচেষ্টাকে অনেকাংশে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে ‘ঢাকা ক্রেডিটের ৪র্থ এবং ৫ম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়ন এবং সহভাগিতা’ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট গমেজ ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আজ ঢাকা ক্রেডিট ৫ শ কোটি টাকার ক্রেডিট ইউনিয়ন ও দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীরা দক্ষতা এবং সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে, তাই ক্রেডিটের এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট গমেজ এ সময় ঢাকা ক্রেডিটের ১০ লক্ষ টাকা কর্মীদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে সমভাবে বন্টন করে দেওয়ার ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও যে সকল কর্মী ভাল সেবা দিয়েছে তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে ঢাকা-কুয়ালালামপুর ভ্রমণের সুযোগ দিবেন বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
৪র্থ এবং ৫ম ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়ন এবং সহভাগিতা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা, ক্রেডিট এবং সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার, উর্ধ্বতন কর্মীসহ ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয় ও শাখা অফিসের কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ঢাকা ক্রেডিট এখন আর আগের মতো নেই। বিগত সময়ের চেয়েও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রেডিটের সেবার মান, পরিধি, কর্মীদের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন আইডিয়া দিতে পারি, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করছে কর্মীরা। কর্মীরা ভাল ইনপুট দিলে, ভাল আউটপুটও পাওয়া যাবে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন সময়ের অর্জন এবং ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৪র্থ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনার চিত্র
সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার এবং মেয়াদ শেষে (জুন, ২০১৭) অর্জন হয়েছে ৩৮ হাজার ১ শত ২ জন। আমানতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ শত ৩০ কোটি এবং মেয়াদ শেষে (জুন, ২০১৭) অর্জন হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। ঋণ কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ শ কোটি এবং মেয়াদ শেষে (জুন, ২০১৭) অর্জন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। সম্পদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ শ কোটি টাকা এবং মেয়াদ শেষে (জুন, ২০১৭) অর্জন হয়েছে ৫ শ ৩৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ঋণখেলাপি ১৩.৯০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ শতাংশে এবং মেয়াদ শেষে (জুন, ২০১৭) ১০.৬৭ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
দীর্ঘসূচিতার ক্ষেত্রে জন্ম লগ্ন থেকে ঢাকা ক্রেডিটের সম্পদ বৃদ্ধির মাইলফলক (সংক্ষেপে)
ঢাকা ক্রেডিটের জন্মলগ্ন ১৯৫৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ বছরে ঢাকা ক্রেডিটের সম্পদ ছিল ৫১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। পরবর্তী ২০১০ সালে মোট ৫ বছরে প্রায় তিনগুন বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৩ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকায়। তার চেয়েও বেশি অর্জন হয় পরবর্তী ৭ বছরে। অর্থাৎ ২০১৭ সালে প্রায় চারগুন বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায়।
জুলাই, ২০১৭ থেকে জুন, ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা
সদস্যদ সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার, আমানতের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭৫ কোটি টাকা, ঋণকার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা ৭২০ কোটি টাকা, সম্পদের লক্ষ্যমাত্রা ৯০০ কোটি টাকা এবং ঢাকা ক্রেডিট কর্মীর লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার জন নিয়ে ৫ম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা ক্রেডিট ২০২০ সালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনায় ঋণখেলাপির পরিমান একটা সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে আসা, দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা, কোয়ালিটিসম্পন্ন সদস্য তৈরিসহ বিভিন্ন আয়মূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং নানা বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।
আরবি/আরপি/৮ জুলাই, ২০১৭