শিরোনাম :
বাংলাদেশে আসছেন পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস!
বাংলাদেশে পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের আসার কথা থাকলেও কবে নাগাদ আসবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। পোপ আসার দিন নিয়ে চলছে বিভিন্ন সম্ভাব্য তারিখের প্রচার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের আসার নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মনগড়া প্রচার। ১১ জুলাই মূলধারার একটি জাতীয় দৈনিকে পোপ ফ্রান্সিসের আসার বিষয়ে সংবাদ ছাপা হলে তা আরো জোড়ালো হয়। সেখানে বলা হয় ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ডিসিনিউজ যোগাযোগ করলে এই সফর কবে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্পর্কে সুনির্দিস্ট কোনো সময় জানা যায়নি।
সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সম্পাদক এবং খ্রিষ্টান যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বুলবুল রিবেরু এ বিষয়ে ডিসিনিউজকে বলেন “পোপ বাংলাদেশে আসবেন তবে তিনি কবে নাগাদ আসবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা এখনও ভাতিকান দপ্তর বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানতে পারিনি।”
অপরদিকে কিছু মিডিয়াতে পোপ আসার সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত কমল কোড়াইয়া।
তিনি বলেন “সরকারিভাবে পোপ মহোদয় আসার এখনো কোনো ঘোষণা হয়নি, কিন্তু কীভাবে তাঁর আসার সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্লেখ করে সংবাদ প্রচারিত হতে পারে তা আমার জানা নেই।”
বাংলাদেশস্থ ভাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে জানান, পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে, তবে তিনি কবে নাগাদ আসবেন, সে বিষয়ে ভাতিকান কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে কার্ডিনাল প্যাট্রিক পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরকে ঈশ্বরের আশির্বাদ হিসেবে দেখছেন। ডিসিনিউজের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, পূণ্যপিতা বাংলাদেশ সফর করবেন এটা অবশ্যই ঈশ্বরের পূণ্যময় আশির্বাদ, অপর দিকে বাংলাদেশের গৌরব। তিনি আসায় বাংলাদেশের খ্রিষ্টমন্ডলী যেমন পূণ্য অর্জন করবে, তেমনি লাভবানও হবে। অপর দিকে রাষ্ট্রের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
তিনি ডিসিনিউজের সাথে একান্ত আলাপকালে জানান, পূণ্যপিতার বাংলাদেশে আগমন আমাদের অনেক দিনের চাওয়া, আমরা আশা করি এই চাওয়া পূরণ হবে। এ সময় তিনি পূণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস কবে নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন তার নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি বলে জানান।
তবে পোপের বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন। পূণ্যপিতা ফ্রান্সিসের সফরের সময় এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলীকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত ইগ্নাসিওস কোড়াইয়া।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন। বর্তমান পোপ ফ্রান্সিসের প্রধান কার্যালয় রোমের উপকন্ঠে অবস্থিত ভাতিকান সিটিতে। রোমের বিশপ হিসেবে, তিনি বিশ্বব্যাপী কাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভাতিকান সিটি উভয়েরই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরবি/আরপি/১৭ জুলাই, ২০১৭