শিরোনাম :
এখনই উদ্বোধন হচ্ছে না ঈশ্বরদী-পাবনা রেল চলাচল
চলতি মাসের শেষে বহুল প্রতীক্ষিত ঈশ্বরদী থেকে পাবনা রেলপথ উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না বলে ডিসিনিউজকে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী -ঢালারচর রেলপথ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সুবক্তগীন।
সরজমিনে দেখা গেছে, প্রথম ফেজের মাঝগ্রাম, দাশুরিয়া,টেবুনিয়া এবং পাবনা স্টেশনের শেড নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রং করা হয়েছে শেডে। স্টেশনে রেললাইন বসানো, সিগন্যাল ব্যবস্থা সংযোজন কাজও শেষ।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্প সম্পর্কে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন ডিসিনিউজকে বলেন, ‘৭৮কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ ও চারটি স্টেশন নিমার্ণের কাজ শেষ হয়েছে। মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত ৩৫ টি ছোট ও ২টি বড় ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৬টি ছোট ও ৯টি বড় ব্রীজের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।’
এ অংশের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে বলে জানান তিনি।
চলতি মাসের ৩১ তারিখ ঈশ্বরদী থেকে পাবনা রেলপথ উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আমরা এরকম একটা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু উদ্বোধন করাটা তো সামগ্রিক ব্যাপার। এর সাথে রেল সার্ভিসও চালু করতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘দাশুরিয়া লেভেল ক্রসিংয়ের কাজটা মে মাসে করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা তা শেষ করলাম গত ১৭ জুলাই। আগামী মাসেই এ অংশের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’
রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বহুল প্রতীক্ষিত ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথের কাজ শুরু হয়েছে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে। প্রথমে ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ থাকলেও বর্তমানে এ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২৯ কোটি টাকা। এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জমি অধিগ্রহণ ও মাঝগ্রাম থেকে মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এই প্রকল্পটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ নির্বাচনের সময় এক টেলি-কনফারেন্সে পাবনায় রেলপথ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের অক্টোবরে।
আরবি/আরপি/ ২৪ জুলাই, ২০১৭