শিরোনাম :
জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুসহ নিহত পরিবারবর্গের আত্মার কল্যাণ কামানয় তেজগাঁও চার্চে বিশেষ প্রার্থনা
আজ ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে তেজগাওঁ হলি রোজারিও চার্চে বঙ্গবন্ধু ও তারঁ পরিবারের সদস্য যাঁরা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছিলেন তাদের আত্মার কল্যাণ কামনা করে এক বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রার্থনার পূর্বে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এবং সচিব নির্মল রোজারিও বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক, সুখ, সমৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক দেশ চাই আমরা।’ যা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আর তা গড়ার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’
প্রার্থনানুষ্ঠানের সহভাগিতায় তেজগাঁও চার্চের ফাদার কমল কোড়াইয়া বলেন, ‘৪২ বছর হল আমরা জাতির পিতাকে হারিয়েছি। ইতিহাসের অন্যতম এক নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই বাঙালি, যার যার নিজ ধর্ম আমাদের পালন করা এবং পালনে সাহায্য করা উচিত।’
‘সমাজতন্ত্রকে ধর্মবাদ দিয়ে চিন্তা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো, সব ধর্মের, সব জাতির এবং সব ভাষাভাষীর মানুষদের নিয়ে সোনার বাংলা গড়া’ বলেন ফাদার কমল।
তিনি বলেন, সঠিক নেতৃত্বদানের জন্য বল প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা সবকিছু নিয়েই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন এবং অতি সাধারনভাবে অসাধারন নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যরা বলেন, ‘স্বার্থ নিয়ে নেতৃত্ব নয় বরং আমি কি দিয়েছি বা কি করেছি দেশের জন্য সেটাই হলো প্রধান বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা ও মানুষ নিয়ে। উন্নয়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’
এ দিন বঙ্গবন্ধুর ছবিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি. রোজারিও, হিউবার্ট গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, অধ্যক্ষ রেমন্ড আরেংসহ আরো অনেক জনগণ।
উল্লেখ্য জাতীয় শোক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ও তাঁর পরিবারের (যারা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন) শহীদদের আত্মার কল্যাণ কামনায় সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠান, স্মরণ দিবসসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরবি/আরপি/১৫ আগস্ট, ২০১৭