শিরোনাম :
ব্লু হোয়েলের ফাঁদে প্রাণ গেল অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণার
পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল কিশোরী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা। রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ হায়ার সেকেন্ডারি গার্লস স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। সেখানে সব সময় মেধাতালিকায় প্রথম ছিল স্বর্ণা। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত পড়ছিল অষ্টম শ্রেণিতে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসার ৫বি ফ্ল্যাটের বাসা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই তার পরিবারের সন্দেহ যে তাদের মেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর ‘ব্লু হোয়েল’ গেমে আসক্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি ধাপ রয়েছে। আর শেষ ধাপটি হলো আত্মহত্যা করা এবং মারা যাওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে যাওয়া। আর সুইসাইড নোটের এক পাশে একটি চিহ্ন এঁকে দেওয়া।
স্বর্ণার লাশ যে ঘর থেকে পাওয়া যায়, সেই ঘরে তার পড়ার টেবিলের ওপর একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যা স্বর্ণা মারা যাওয়ার আগে লিখে গেছে বলে তার বাবা আইনজীবী সুব্রত বর্ধন জানিয়েছেন।
সুইসাইড নোটে বড় বড় করে লিখা আছে, ‘NO ONE IS RESPONSIBLE FOR MY DEATH’, অর্থাৎ আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আর এই লেখাটির ঠিক পাশেই ছিল একটি হাসির চিহ্ন আঁকা, যা থেকে দেখা যায় যে এটি ব্লু হোয়েল গেমসের ৫০ নম্বর ধাপ।
অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণার বাবা সুব্রত বর্ধন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমার মেয়ে রাত জেগে ফোন ব্যবহার করত। মোবাইলে কী করছে, দেখতে চাইলে দিত না। রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে ফোনে কী যেন করত। দেখতে চাইলেও দিত না। গোপন করত।’
সুব্রত বর্ধন জানান, মেয়ের লাশ উদ্ধারের দিনই শুনতে পান ‘ব্লু হোয়েল’ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর গেমের কথা। তিনি দাবি করছেন, ওই গেমে অংশ নিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাঁর মেয়ে।
আরবি/আরপি/৯ অক্টোবর, ২০১৭