শিরোনাম :
পোপ ফ্রান্সিসের আগমন বিপদগামী মানুষের মনও স্পর্শ করবে : নির্মল রোজারিও
পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এ দেশের মানুষের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ এবং প্রস্তুতি। বিভিন্ন ধাপ পাড় করে পোপ ফ্রান্সিসের সফরের প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। খ্রিষ্টান সমাজ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের মাঝে পড়ছে এর প্রভাব। ডিসিনিউজ নিয়মিতভাবেই আয়োজন করে চলেছে বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে তাদের প্রতিক্রিয়া এবং বিভিন্ন আলোচনাগুলো তুলে আনার। ডিসিনিউজের সাথে আজকের আলোচনায় থাকছেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও।
বাংলাদেশে পোপ ফ্রান্সিসের কর্মসূচির মধ্যে প্রেসিডেন্ট রোজারিও বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক আয়োজন দেখছেন বলে জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে পোপ যখন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন, সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় এবং মান্ডলিকভাবে অভ্যর্থনা ও সম্মান জানানো হবে। এরপরই তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে তাঁর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানাবেন, যা জাতীয় স্বাক্ষর বহন করছে এবং বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ পাবে।
প্রেসিডেন্ট রোজারিও বলেন, পোপ যেহেতু ভাতিকান রাষ্ট্রের প্রধান, তাই গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতিকানে গিয়ে পোপ মহোদয়কে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসার জন্য। এরপরই বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলীও পোপ মহোদয়কে আমন্ত্রণ জানায়। পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশকে ভালবাসেন বলেই এদেশের মানুষের সাথে সময় কাটাতে আসছেন। পোপ ফ্রান্সিস সকল দেশের সকল মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান।
যেকোনো দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো একতা, ঐক্য এবং এক সাথে বসবাস করা। তাই ধর্মীয় এবং জাতিগতভাবে আমাদের বসবাস করলে দেশ উন্নত হবে। পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশে ধর্মীয় এবং মান্ডলিক সম্প্রীতির উপর আরো বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন প্রেসিডেন্ট রোজারিও। যা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।
‘আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্য সব সময় কল্যাণের পক্ষে। সব সময় মানবতা নিয়ে তিনি কথা বলেন। তাই বাংলাদেশে তাঁর উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষের মনে নাড়া দিবে।’ বলেন প্রেসিডেন্ট রোজারিও।
আমাদের যে আন্তঃমান্ডলিক কমিশন আছে, পোপের সফরে তা আরো বেগবান হবে এবং আন্তঃমান্ডলিক সম্পর্ক আরো জোড়দার হবে বলেও মনে করেন তিনি।
‘বর্তমান সম্প্রীতির বাংলাদেশে যখন ঐক্য নিয়ে কাজ চলছে, সেখানে কিছু উগ্রবাদী মানুষ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে, আমি মনে করি পোপ ফ্রান্সিসের আগমন সেই সকল বিপদগামী মানুষের মনেও স্পর্শ করবে।’
সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রেসিডেন্ট রোজারিও বলেন, ‘গুরুত্বের বিষয় হলো, পোপের সাথে বাংলাদেশের যুব সমাজের যে একটা অনুষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যুব সমাজ অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হবে। তবে বাংলাদেশে যে শত বছর ধরে মানুষ এক সাথে, সহমর্মিতায় এবং সহযোগিতায় বসবাস করছে তা আরো বেশি মজবুত হবে।’
সর্বোপরি বাংলাদেশে পোপ ফ্রান্সিসের আগমন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে একটি উৎসব, ভ্রতৃত্ব, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির মিলন বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট রোজারিও।
আরবি/আরপি/১২ অক্টোবর, ২০১৭