শিরোনাম :
৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবসের কর্মসূচীতে ঢাকা ক্রেডিট
‘উৎপাদমুখী সমবায় করি, উন্নত বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালন করা হল ৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবস। সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচী।
আজ (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় মৎস্যভবন এলাকা থেকে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে গুলিস্থান ওসমানি মিলনায়তন পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সমবায়ের সমবায়ীরা যোগ দেয়।
র্যালির নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি। এ দিন দেশে সর্ববৃহৎ ক্রেডিট ইউনিয়ন ‘ঢাকা ক্রেডিট’ সমবায় দিবসের কর্মসূচীতে যোগ দেয়। কর্মসূচীতে ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, কাককোর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়াসহ ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তা এবং কর্মীরা যোগদান করেন।
র্যালি শেষে ওসমানী মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে এই মুহূর্তে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭০টি নিবন্ধিত সমবায় প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ জন সদস্য রয়েছে।
সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন প্রায় ১৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ সকল সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
এছাড়াও সমবায়ভিত্তিক ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন থেকে আর মাইক্রোক্রেডিট নয়, ‘মাইক্রো সেভিংস’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।
আরও জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে সমবায়ের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। আরও দুইটি দুগ্ধভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কৃষি ও অকৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার দেওয়া বাণীতে বলেছেন, ‘সমবায়ের সফলতার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সমবায় সমিতি গঠনে এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে সমবায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেছেন, ‘আমাদের সম্পদ সীমিত। সে সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সমবায় খাতকে আরও শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সমবায়ীগণকে উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
আরবি/এসডিকে/৪ নভেম্বর, ২০১৭