ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চুরির চক্র

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চুরির চক্র

0
327

বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি বলছে, তারা এমন একটি জালিয়াত চক্রের সন্ধান পেয়েছে যারা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চুরি করে সেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল ফোন সিম বিক্রি করছে।

এসব সিম নানা ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন। মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনের সময় আঙুলের ছাপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যখন জমা নেয়া হচ্ছিল, তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে এসব যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে কিনা।

এখন এনিয়ে আবারো নতুন উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

সিআইডি বলেছে, ঢাকা এবং রংপুরে অভিযান চালিয়ে তারা যে ১২০০ সিম জব্দ করেছে সেগুলো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি টেলিটকের। বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে এসব সিম ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে।

যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তারা হয়তো জানতেনই না যে জালিয়াত চক্র এ কাজ করছে। এমনটাই বলছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান।

যারা এসব তথ্য চুরি করেছে, তারা কোম্পানির ভেতরে কর্মরত আছেন বলে সিআইডি মনে করছে।

“যারা এ কাজগুলো করছে, সিআইডি মোটামুটি নিশ্চিত যে তাদের ঐ ধরনের একসেস (প্রবেশাধিকার) আছে সিস্টেমের উপরে। যেখানে যেখানে তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছে সেখানেও তারা পার পেয়েছে,” বলছিলেন সিআইডির কর্মকর্তা রাজীব ফরহান।

পুলিশ সুপার মনে করেন, এই বিশেষ ঘটনায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।

এসব মোবাইল সিম চাঁদাবাজি, মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, অবৈধ অর্থ লেনদেনসহ নানা অপরাধের জন্য ব্যবহার করা হতো। এসব অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে যাদের নামে সিম কেনা হয়েছে, পুলিশ কখনো-কখনো তাদের পাকড়াও করছে। পরবর্তীতে দেখা যায়, তাদের নামে সংযোগ ব্যবহার করে অন্যরা অপরাধ করছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রেতাদের একাধিক ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ নেয়। এর মাধ্যমে অনেকে খুচরা বিক্রেতা জালিয়াতির আশ্রয় নেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিআইডির কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরাও মনে করেন, গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কতটা দুর্বল সর্বশেষ ঘটনা সেটিই প্রমাণ করলো।

 

 

আরবি/আরএসআর/৭ নভেম্বর, ২০১৭