শিরোনাম :
স্থিতিশীল উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য : গ্রীণ হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষা সফর
গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকে ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়, শাখা অফিস, প্রকল্পসমূহে কার্যক্রম পরিদর্শন করে সাকুলের ছাত্রছাত্রীরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) এক শিক্ষা সফরের মাধ্যমে গ্রীন হ্যারাল্ড স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়, সাধনপাড়া এবং মণিপুরীপাড়া শাখা অফিস, ছাত্রী হোস্টেল, জীম, ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার, সমবায় বাজার পরিদর্শন করে কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেয়।
সকাল ১০টায় সাধনপাড়া এবং মণিনপুরীপাড়া পরিদর্শন শেষে ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখে।
এ সময় ক্রেডিটের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের ক্রেডিটের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেন। পরিদর্শন শেষে ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে ক্রেডিটের কর্মকর্তাদের সাথে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার রেবা ভেরোনিকা ডি’কস্তা আরএনডিএম, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার খৃষ্টফার লিন্টু গমেজ, সহকারী প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিও ও অন্যান্য চীফ অফিসারসহ গ্রীন হ্যারাল্ড স্কুলের শিক্ষক এবং প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী।
এ সময় প্রেসিডেন্ট গমেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রেডিট ইউনিয়নের যাত্রা বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশে প্রথম ক্রেডিট ইউনিয়নের যাত্রা শুরু হয় পবিত্র ক্রুশ সংঘের ফাদার মহতপ্রাণ চালর্স জে. ইয়াং-এর হাত ধরে। ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত কাবুলিওয়ালাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এই ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমানে ৪৪৭ জন কর্মী রয়েছে এবং এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী। ঢাকা ক্রেডিট নারী-পুরুষ সম-মর্যাদায় কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের সম্পদ-পরিসম্পদ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। সুতরাং নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় প্রতিষ্ঠান।’
এ সময় প্রেসিডেন্ট গমেজ ঢাকা ক্রেডিটের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং শিঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে এমন প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘স্থিতিশীল উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।’
গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার রবা বলেন, ‘আজকে এখানে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছি। যখন আমাকে ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলা হলো, তখন আমি সানন্দে রাজী হয়ে গেলাম। অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান আজ অনেক বড় হয়েছে। দিন দিন এর পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এভাবেই বড় হতে থাকবে।’
আলোচনায় প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের পক্ষ থেকে ঢাকা ক্রেডিটকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ এবং সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
আরবি/আরপি/২২ নভেম্বর, ২০১৭