শিরোনাম :
রোহিঙ্গারাও ঈশ্বরের সন্তান: রমনায় পোপ ফ্রান্সিস
রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা সফররত পোপ ফ্রান্সিস।
বিকেলে ঢাকা আর্চবিশপে আন্তধর্মীয় সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি বলেন, রাখাইনের নির্যাতিত সম্প্রদায়ের প্রতি তার মন কাঁদে। এসময় তাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান বলেও আখ্যা দেন তিনি। সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা অবিলম্বের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানুষের মর্যাদায় ফিরিয়ে নেবার আহ্বান জানান।
শুক্রবার বিকেলে প্রায় ৬১ বছর আগে প্রতিষ্ঠা পাওয়া রাজধানীর ম্যারি ক্যাথিড্রালের আঙ্গিনা যেন ভক্ত আর পবিত্র পিতার সম্মিলন। পোপ ষষ্ঠ পল এবং পোপ জন পলের পর এই গির্জায় আসলেন ২৬৬তম পোপ ফ্রান্সিস আর্জেন্টাইন।
প্রধান প্রতিটি ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে দেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা নানা পরিবেশনায় তুলে ধরেন আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব ছিল ভ্যাটিকান প্রধান পোপের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। যেখানে কথা বলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। তুলে ধরেন বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংকটের কথা।
আন্ত:মণ্ডলীয় এই সম্মিলনে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সিস পোপ। শরণার্থী এবং দুর্বলদের প্রতি সকলকে যত্নবান হবার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় পোপ বলেন, উন্মুক্ত হৃদয়ে সকল ভালোর পথে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চে ৩ রোহিঙ্গা পরিবারের ১৮ জন প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। বলেন, তাদের প্রতি ভ্যাটিকানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এ সময় পোপ বলেন, রোহিঙ্গারাও ঈশ্বরের সন্তান। আপনাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা নির্মম। আমরা আপনাদের হৃদয়ে জায়গা দিচ্ছি। আপনাদের যারা নির্যাতন করেছে বিশেষ করে বিশ্বের যারা আপনাদের প্রতি উদাসীনতা দেখিয়েছে তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন ক্যাথলিকদের এই ধর্মগুরু।
আরবি/পিবি/১ ডিসেম্বর, ২০১৭