শিরোনাম :
শ্রদ্ধা ভরে মহান বিজয় দিবস পালন
শনিবার দেশব্যাপী উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালন করা হয় মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের আন্তত্যাগের বিনিময় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ৯২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে বিজয়ের গৌরবে উড়তে থাকে বাংলাদেশের পতাকা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
ভোরে আলো ফোটার সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি মহান বিজয় দিবসের প্রক্কালে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেই সমৃদ্ধ আগামীর পথে।’
এ দিন মহান স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার সকালে নেতৃবৃন্দ সাভারে সকলস্থরের মানুষের সাথে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের আত্মার কল্যাণ কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পিটার রতন কোড়াইয়াসহ বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
স্মৃতি সৌধের পাদদেশে তারা সকল শহীদদের প্রতি ফুলের স্তবক অর্পন করে, শহীদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। নেতৃবৃন্দ শহীদদের আত্মত্যাগের চেতনায় একটি সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়সহ আপামর জনতা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।