শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন
ঢাকা ক্রেডিট খ্রিষ্টান সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এর সেবা সারাদেশে সকল মানুষ ভোগ করতে পারছে বলে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সমাবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব মো. আব্দুল মজিদ।
৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মঠাবাড়ীর ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচনকালে তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে। ঋণ প্রকল্পের পাশাপাশি ঢাকা ক্রেডিট আয়মূলক প্রকল্পের মাধ্যমে মানবের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা ক্রেডিটের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।’
সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্মনিবন্ধক মমিনুল হক তালুকদার বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট সমবায় অধিদপ্তরের একটি গর্ব। ঢাকা ক্রেডিট এখন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর মতো পেশাদারি হয়ে উঠেছে। তারা এখন বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে কাজ করে মানব কল্যাণে অবদান রেখে যাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিটের এমন বহুমুখী সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ জানান, ‘ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে নতুন একটি বহুতল ভব নির্মাণ করা হবে, যেখানে একটি আর্কাইভ থাকবে। এই আর্কাইভে আমাদের ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩ বছরের বিভিন্ন ধরণের তথ্য থাকবে। যারা ক্রেডিট নিয়ে রিসার্চ করতে চায়, তাদের জন্য এটা উন্মুক্ত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সমবায়ের উপর ১৫% যে টেক্স ধার্য করেছে, যা ক্রেডিট ইউনিয়নের উপর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মাননীয় নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং অন্যান্যদের প্রতি এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ দিন সমাবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক, যুগ্মনিবন্ধকগণ, ডিসিও- ঢাকা, ডিসিও- গাজীপুর, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি এবং অন্যান্য অতিথিরা রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা বিভাগের সমবায় কার্যালয়ের যুগ্মনিন্ধক রুহুল আমিন, ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পর্ষদ, সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মী এবং তাদের পরিবারবর্গ।
এ দিন ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩ বছরের ইতিহাস নির্ভর একটি ফ্লিম ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয়। যেখানে ১৯৫৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা ক্রেডিটের পথচলা, উন্নয়ন এবং সার্বিক বিষয় সন্নিবেশিত ছিল।
উল্লেখ্য, ৩ ফেব্রুয়ারি সমবায় অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা, কর্মী এবং তাদের পরিবারবর্গ ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে বার্ষিক বনভোজনে আসেন। এ সময় ঢাকা ক্রেডিট পরিবার তাদের উষ্ণ সংবর্ধনা দিয়ে এখানে বনভোজনে আসার জন্য ধন্যবাদ জানায়।
আরবি/আরপি/৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮