শিরোনাম :
আট লেনে উন্নীত হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বালু নদ পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সড়কটি (৩০০ ফুট) ৪ লেন থেকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (আরডিপিপি) অনুসারে এই অংশের সার্ভিস সড়কও ৩ লেন থেকে ৬ লেনে উন্নীত করা হবে। ৩০০ ফুট সড়কের দুপাশে চলমান ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প সম্প্রসারণ করে তার আওতায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার পূর্বাচল ১৪ নম্বর সেক্টরে খাল খনন প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর জন্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।বর্ষা মৌসুমে ঢাকার পূর্বাংশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তৈরি হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজউকের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
গত বছরের ৮ জুলাই রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে খাল খননকাজের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯০ একর ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বালু নদ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে আড়াই মিটার গভীর করে খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজউক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস আরডিপিপি অনুসারে নতুন একটি নকশা উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, নকশায় এই প্রকল্পের ভেতর দিয়ে যাওয়া ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপে) চিহ্নিত তিনটি সড়ক নির্মাণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বনশ্রী থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার। বাকি দুটি সড়কের এক কিলোমিটার করে নির্মাণ করা হবে।
খননকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ইফতেখার আনিস বলেন, ‘খাল খনন ও পাইলিংয়ের কাজ এ বছরের আগস্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলব। আর ড্যাপে চিহ্নিত রাস্তার জন্য ভূমি অধিগ্রহণই একমাত্র বাধা। আশা করি, ভূমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ তবে আরডিপিপি অনুসারে প্রকল্পব্যয় কতটা বাড়ছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি।
নতুন নকশার বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানআবদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান নান্দনিক সৌন্দর্য ও কার্যকারিতার দিক থেকে এই প্রকল্পটি যেন একটি উদাহরণ হয়ে ওঠে। আমরা নকশাটি প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছি। তিনি এটার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।’আরডিপিপিতে ৭ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নামাপাড়া সড়ক নির্মাণ, ২৬ কিলোমিটার বাঁধ, ১৭টি সেতু, ৫টি পাতালপথ এবং ২টি কালভার্ট নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বোয়ালিয়া ও ডুমনি খাল পুনঃখননের সঙ্গে সঙ্গে দুপাড়ে ওয়াকওয়ে বানানোর কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের পরামর্শক দলের প্রধান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রকল্পের রাজউক অংশের পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী অংশের পরিচালক লে. কর্নেল নিজাম উদ্দীন আহমদ, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ রায়হান কবীর প্রমুখ।
আরবি/আরপি/৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮