শিরোনাম :
মাউছাইদ চার্চে ডাকাতি ও পবিত্র সাক্রামেন্তের অবমাননায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ
গত বৃহ¯পতিবার রাতে মাউছাইদ কাথলিক চার্চে আকস্মিক ভাবে ঘটে যাওয়া ডাকাতি ও পবিত্র সাক্রামেন্তের অবমাননার জন্য আজ (সোমবার) বিকেল ৫টায় মাউসাইদ গির্জা প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মাউছাইদবাসী সারাদিন নিরামিষ ও উপবাস থেকে বিকেলে খ্রিষ্টজাগে অংশগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টজাগ উৎসর্গ করেন ফাদার মিন্টু এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত চঞ্চল হিউবার্ট পেরেরা।
এরপর বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন উত্তরখান শাখা, মাউছাইদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, মাউছাইদ খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ও জাগ্রত যুব সংঘের ব্যানারে প্রতিবাদ র্যালি বের হয়। র্যালিটি গির্জাপ্রাঙ্গণ থেকে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এরপর একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে ডাকাতি এবং সাক্রামেন্ত অবমাননার জন্য বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ এবং নিন্দা জানান।
এ সময় বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের (কেন্দ্রী) মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছি। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ যদি তাদের আইনের আওতায় না আনে, তাহলে আমরা ঢাকা প্রেসক্লাবে আন্দোলন করবো।’
এসময় তিনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেন কারণ ফাদারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ডাকাত দল। তবে পবিত্র সাক্রামেন্তের অবমাননা করায় তিব্র নিন্দা জানান মহাসচিব কোড়াইয়া।
এসময় প্যারিসের সেক্রেটারি জয়া ডি’কস্তা বলেন, ‘আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং খুব শিঘ্রই এখানে গার্ড ও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।’
এ দিন ঢাকা উত্তরা ডিভিশনের ডিসি নাভিদ কামাল শৈবাল ১২ জনের একটি পুলিশ দল নিয়ে সরেজমিনে গির্জা চত্ত্বর পরিদর্শন করেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেন খুব শীঘ্রই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
‘উত্তরা ডিভিশনের পক্ষ থেকে পুরো গির্জায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ৫টি সিসি ক্যামেরা প্রদান করা হবে’ বলেন ডিসি শৈবাল।
আরবি/আরপি/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮