শিরোনাম :
মানব তুমি ধূলিতেই মিশে যাবে
খ্রিষ্টবিশ্বারী প্রতি বছর ৪০দিন যিশুখ্রিষ্টের যাতনাভোগ স্মরণ করে ৪০দিন উপবাস এবং ত্যাগ স্বীকার করেন।
এ বছরও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভষ্ম মেখে খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা তাদের খ্রিষ্টের যাতনাভোগের যাত্রা শুরু করেছে।যেহেতু নির্দিষ্ট এক বুধবার মাথায় ভষ্ম মেখে এ যাত্রা শুরু করা হয়, তাই এই দিনটিকে বলা হয় ভষ্ম বুধবার। কাথলিক ও অন্যান্য মণ্ডলীর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
ভষ্ম বুধবার থেকে খ্রিস্টানদের প্রায়শ্চিত্তকাল শুরু। এ দিন থেকে পরবর্তী চল্লিশ দিন পর্যন্ত বিশেষ ত্যাগস্বীকার, প্রার্থনা ও উপবাসের মধ্য দিয়ে কাটায় জীবন যাপন করেন।
ভস্ম বুধবারে খ্রিস্টবিশ্বাসীরা চার্চে গিয়ে কপালে ছাই মাখে। এর দ্বারা প্রকাশ পায় তাদের কৃত পাপের জন্য অনুশোচনা ও প্রায়শ্চিত্তের। একই সঙ্গে মানুষ যে নশ্বর এবং একদিন আবার এই পৃথিবী থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে, এই উপলব্ধির দিনও ভস্ম বুধবার।
সাধারণত, গির্জার ফাদার বা পালক খ্রিস্টবিশ্বাসীদের কপালে ক্রুশ চিহ্নের আকারে ছাই মেখে দেন। এই ছাই তৈরি করা হয় আগের বছরের ‘তালপত্র রবিবার’-এ ব্যবহৃত খেজুর ও তালপাতা পুড়িয়ে।
ভস্ম বুধবার উপলক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে চার্চগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। যথাযোগ্য ভাব-গাম্ভীর্য ও ত্যাগস্বীকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন খ্রিস্টানরা।
ত্যাগস্বীকার এবং উপবাসের ৪০ দিন পর আসে খ্রিষ্টের পুনরুত্থান উৎসব। খ্রিষ্ট ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে আবর ৩য় দিনে পুনরুত্থান করেন। যাতনাভোগের কষ্টের ভাগি হয়ে খ্রিষ্টভক্তরা এই পুনরুত্থান উৎসবে খ্রিষ্টের গৌরবের সাক্ষী হন। এই বছর ১ এপ্রিল বিশ্বের খ্রিষ্টভক্তরা পুনরুত্থান উৎসব পালন করবে।
আরবি/আরপি/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮