ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে মধুপুর রিজার্ভ ফরেস্ট গেজেট ঘোষণায় উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সম্মেলন

নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে মধুপুর রিজার্ভ ফরেস্ট গেজেট ঘোষণায় উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সম্মেলন

0
797

নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে মধুপুর রিজার্ভ ফরেস্ট গেজেট ঘোষনার দুই বছর উচ্ছেদ আতঙ্কে মধুপুর গড়াঞ্চলে ২৫ হাজার আদিবাসী জনগোষ্ঠী।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্বয়ন পরিষদ, আচিক মিচিক আদিবাসী ক্লাস্টার উন্নয়ন ফোরাম, বাগাচাস ও গারো স্টুডেন্ট ফোরামের উদ্যোগে এ বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে লিখিত আলোচনায় অংশ নেয়, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, আদিবাসী ক্লাস্টার উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি অজয় এ.মৃ, আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ম্রং, জলছএ কর্পোস খ্রীষ্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষীকা মরিয়া চিরান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারন সম্পাদক থমাস চাম্বুগং, জয়েশাহী জলছএ সাখা কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রবীন চিসিম।

লিখিত-সাক্ষরিত আলোচনায় বলা হয়, ‘মধুপুর গড়াঞ্চলে বসবাসকারী ২৫ হাজার গারো ও কোচ/বর্মন আদিবাসী স্বরনাতীতকাল থেকেই এ বনাঞ্চলে বংশানু্ক্রমিকভাবে বসবাস করে আসছে।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সেই বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে পাকিস্তান শাসনামল শাষ হয়ে স্বাধীন বাংলাদদেশের ৪৫ বছরেও মধুপুরের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার সমাধান হয়নি বরং বন বিভাগ ও সরকারী অন্যান্য মন্রনালয় কর্তৃক অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহনের কারনে নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।’

এতে আরো বলা হয়, ‘বর্তমান সরকার বন ও পরিবেশ মন্রনালয় বিগত দুই বছর পূর্বে ১৫/০২/২০১৬ইং তারিখ, একটি গেজেটের মাধ্যমে মধুপুর উপজেলার অরনখোলা মৌজার ৯,১৪৫.০৭একর জমিকে ১৯২৭ সনের বন আইনের ২০ ধারা মোতাবেক চুরান্ত ভাবে সংরক্ষিত বনভুমি ঘোষনা করেছেন, যার প্রেক্ষিতে মধুপুর গড়ে বসবাসকারী আদিবাসীগন উচ্ছেদ আতংকে দিনাতিপাত করছে। মধুপুর ভুমি ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রাথমিক সমিক্ষা করে দেখেছে যে, চুড়ান্ত রিজার্ভ ঘোষিত এলাকায় আদিবাসী গ্রাম ইরা, জলই, টেলকি, সাধুপারা, জালাবাদা, কাকরাগনি, বেদুরিয়া, জয়নাগাছা, বান্দরিয়া, কেজাই, পনামারী, আমলীতলা, গাছাবাড়ী, উল্লেখিত গ্রাম সমূহে ১০৮৩টি পরিবার ৬০৭৭ জন আদিবাসী বাসসহ চাষাবাদকৃত জমি রয়েছে পায় ২৫০০ একর। প্রত্যেক গ্রামেই একটি করে মিশনারি প্রইমারী স্কুল ও একটি করে গীর্জা ঘর রয়েছে। আদিবাসীরা মনে করছেন সরকার কর্তৃক চুরান্ত গেজেট ঘোষনাটি সঠিক হয়নি।’

‘আই.এল ও কনভেনশন ১০৭ ও ১৬৯ এবং জাতিসংগ কর্তৃক ঘোষিত আদদিবাসী সনদে আদিবাসীদের প্রথাগত ভুমি অধিকার,শিক্ষা,সংস্কৃতি,জীবন-জীবিকার রক্ষার বিষয় যথেষ্ট নিয়ম নিতির কথা বলা হয়েছে।রিজার্ভ ঘোষনার ফলে বন বিভাগ কর্তৃক আদিবাসী সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে নতুন করে বন মামলা হচ্ছে। রিজার্ভ ফরেস্ট ঘষিত এলাকায় পুরাতন ঘর ভাঙে নতুন ঘর করলে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ সংযোগ করার পদক্ষেপ উদপাদিত কৃষি পন্য আনা নেওয়ার ক্ষেএেও বন বিভাগের কমউনিটি ফরেষ্ট ওর্কার কর্তৃক বাধা প্রদান করা হচ্ছে।’ আলোচনা করা হয় সম্মেলনে।

সম্মেলনে আদিবাসীদের দাবী চুরান্ত রিজার্ভ ফরেষ্ট ঘোষিত গেজেট হতে আদিবাসী গ্রাম সমুহকে বাদ দিয়ে পুনরায় সংসধিত গেজেট ঘোষনার জোড় দাবী জানানো হয়।

আলোচনায় আরো বলা হয়, ‘বন বভাগ তাদের দোষ ঢাকার জন্যে সব সময় আদিবাসীদের উপর বন ধ্বংসের জন্য দায়ী করেন। বন বিভাগের কর্মকর্তাগন দায়ছারা কথা বলার ঘোড় নিন্দা প্রচার করেন।’

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ভুমি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং বর্তমান ক্ষমতাসিন আওয়ামিলীগ সরকার যেভাবে দাবি করেন এই সরকার জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বঞ্চিত নিপিরিত পিছিয়ে পরা মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গিকার বদ্ধ। আদিবাসী সংখ্যা লঘুদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্রী আদিবাসী সংখ্যালঘুদের প্রতি সহানুভুতিশীল মনোভাব পোষন করবেন বলে আশাবাদি।’

 

আরবি/আরপি/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮