শিরোনাম :
কাককোর তিন দিনের হিসাব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
সমবায়ের পেশাদারি কর্মী তৈরীর লক্ষে দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি: নিয়মিত আয়োজনের মতো এবারও কর্মী উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি, মোহাম্মদপুর সিবিসিবি সেন্টারে দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি: কতৃক সমবায় সমিতির হিসাব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি, বিকাল ৫টায় ছিল এই প্রশিক্ষণের সমাপনী এবং সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কাককোর প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আজ অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আপনাদের এই আলোচনায় আমরাও অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমাদের ৩০ দিনের ডিপ্লোমা কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে ১৩টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাদের এই তিন দিনের কোর্সে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। স্কিল ডেভলপমেন্ট, জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি হলেই হবে না, এটা কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করতে পারলেই এই প্রশিক্ষণ সফল হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যে শিক্ষা আজ নিচ্ছেন, তা কখনোই বিভাজনের শিকার হবে না। আজ যে শিক্ষা নিচ্ছেন, তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক প্রয়োজন হবে। এতে আপনার সমাজ এবং দেশেরও উন্নয়ন হবে। সমবায় যে একটি পেশা, তা আকর্ষণীয় করার প্রয়াস নেওয়া হয়নি, তাই কাককো পেশাদারি প্রশিক্ষণ দিয়ে সমবায়ের পেশাকে একটি পেশাদারি এবং জনপ্রিয় পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠার করার কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি এ সময় কাককোর জন্যও কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কাককোর জন্য কথা বলতে হবে। কাককো একটি কেন্দ্রীয় সমিতি। এর মেম্বার জন্য হওয়ার জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। আমরা চাচ্ছি কাককোর মাধ্যমে ঋণখেলাপী কমিয়ে আনতে। এরজন্য ইতোমধ্যে একটি মনিটরিং সিস্টেমও ডেভলপ করা হয়েছে।’
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন, তা এই প্রশিক্ষণে এসেই বোঝা যায়। এই প্রশিক্ষণ ব্যক্তি জীবন এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুবই প্রয়োজনীয়। অনেকে মনে করে কাককো এবং কালব একই ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়, যা ঠিক নয়। কাককো সব সময় প্রয়োজনী এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। কাককোর চেয়ারম্যান সব সময় প্রয়োজনের দিকে নজর দেন। কাককো সব সময় চেষ্টা করে আপনাদের টেকনিক্যাল সহযোগিতা দেওয়ার। কর্তৃপক্ষ কখনোই এই প্রশিক্ষণ ভাল করতে পারতো না, যদি না আপনারা সৎ হতেন। আপনারা ভাল বলেই আজকের এই প্রশিক্ষণ ভাল হয়েছে। আমরা এই তিন দিনে যতটুকু শিখেছি বা জেনেছি, তা যখন নিজের প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করতে পারবো, তখনই এই প্রশিক্ষণ সাফল্য পাবে।’
এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, ‘আজকের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পেরেছি। এখান থেকে যে তথ্য আমরা জানতে পেরেছি,তা আমাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগবে। এখান থেকে নেওয়া শিক্ষাগুলো দিয়ে আমরা ক্রেডিটের উন্নয়নের জন্য আরো ভাল কিছু করতে পারবো। এত সুন্দর আয়োজনের জন্য ঢাকা কাককো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তিন দিনের প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য খুবই কম সময়, কাককো যদি প্রশিক্ষণের সময় আরো বাড়ায় তাহলে আরো ভাল হতো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাককোর প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ভাইস-প্রেসিডেন্ট যোসেফ বিভাস গমেজ, ট্রেজারার জেমস নিখিল দাস, ডিরেক্টর জেমস ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য লরেন্স মানিক রোজারিও, কাককোর সিইও ফ্রান্সিস ডি’কস্তা, প্রশিক্ষক সাদেকুর রহমান সরকার, ঢাকা ক্রেডিটের মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার সোহেল রোজারিও।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাককোর প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণ ও অডিট কর্মকর্তা রবার্ট গমেজ।
অনুষ্ঠানের শেষে কাককোর প্রেসিডেন্ট অন্যান্যদের সাথে নিয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কাককো প্রতি বছর বিভিন্ন সময়ে ক্রেডিট কর্মীদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে যেমন লাভবান হচ্ছে কর্মীরা, তেমনি লাভবান হচ্ছে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো।
আরবি/এইচআর/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮