ঢাকা ক্রেডিটের প্রভাত ফেরির মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো, একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের তালে শহীদ মিনারের সকালের প্রভাত ফেরিতে অংশ নেয় দেশের সর্ব বৃহৎ সমবায় প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা ক্রেডিট’।

ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজের নেতৃত্বে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সকালে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তা, কর্মী এবং সদস্যরা।

অপর দিকে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ এবং সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের আত্মার কল্যাণ কামনার্থে বিবৃতি দেন। তারা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকলের কাছে আহ্বান জানান, ‘সবাই যেন মাতৃভাষা বাংলার শুদ্ধ চর্চা করেন। মায়ের ভাষার মর্মার্থ হৃদয়ে ধারণ করে বাঙালির মূল্যবোধকে তুলে ধরতে সবাই যেন সচেষ্ট হই।’

খালি পায়ে হেঁটে, বিনম্্র শ্রদ্ধায় ফুল দিয়ে ৫২’র ভাষা সৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনায় অংশ নেয় ঢাকা ক্রেডিট।

হালকা কুয়াশার চাদরে ঘেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদদের স্তম্ভ শহীদ মিনার। লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত আজ ভাষা সৈনিকের পদতল। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে শহীর মিনার চত্ত্বর। মাইকে বেজে চলেছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

কারো মধ্যে তাড়াহুড়ো নেই, সবাই সারি বেধে খালি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে শহীদ বেদিতে।

মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রথম প্রহরেই ১২ টা ১মিনিটে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের আত্মার কল্যাণ কামনা করেন। এরপর একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, স্কুল-কলেজ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পিটার গোমেজ, রতন পিটার কোড়াইয়া, রূপন পিউরীফিকেশন, পাপিয়া রিবেরূ, আনন্দ ফিলিপ পালমা, ক্রেডিট কমিটির সদস্য প্রত্যেশ রাংসা, সুপারভাইজরি কমিটির সভাপতি পূর্ণিমা মারিয়া গমেজ, সদস্য স্টেলা হাজরাসহ আরো অনেকে।

আরবি. এইচআর. ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮