ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ শেষ হলো বাঙালির প্রাণের একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৮

শেষ হলো বাঙালির প্রাণের একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৮

0
306

২৮ ফেব্রুয়ারি, একুশে গ্রন্থ মেলার শেষ দিন, তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথেই দর্শণার্থীদের আনাগোনা অন্য দিনের তুলনায় ক্রমশ বাড়তে থাকে। সকলের উদ্দেশ্য একটাই ২০১৮ এর গ্রন্থ মেলার শেষ দিনে প্রিয় বইটি সংগ্রহ করা। তাই প্রিয়জনদের সাথে করেই ভির জমতে থাকে বাঙলা একাডেমি চত্বরে।

বুধবার বিকেল ৬টায় শুরু হয় ‘একুশে গ্রন্থ মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমির পরিচালক ও সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে ৪টি ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘চিত্তরঞ্জন সাহা’ স্মৃতি পুরস্কার, গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য ‘মুনির চৌধুরী’ স্মৃতি পুরস্কার, গুণমান বিচারে সর্বাধিক শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘রোকনুজ্জামান খান (দাদা ভাই)’ স্মৃতি পুরস্কার, নান্দনিক স্টল প্যাভিলিয়ন সজ্জার জন্য ‘কাইয়ুম চৌধুরী’ স্মৃতি পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়।

এ দিন বিকাল ৪টায় বাংলাদেশের আদিবাসী বিষয়ক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি রাশিদ আসকারীর উপস্থিতিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন রাহমান নাসির উদ্দিন।

এবারের বইমেলায় যে ধরনের বইগুলো নতুন প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গল্প ৭০১টি, উপন্যাস ৬৪৩টি, প্রবন্ধ ২৫৭টি, কবিতা ১৪৭২টি, গবেষণা ১২২টি, ছড়া ১১২টি, শিশু সাহিত্য ১২৫টি, জীবনী ১০৭টি, রচনাবলী ৯৫টি, মুক্তিযুদ্ধ ৯১টি, নটিক ২৩টি, বিজ্ঞান ৭৬টি, ভ্রমণ ৯১টি, ইতিহাস ১১০টি, রাজনীতি ২২টি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৩৩টি, রম্য/ধাঁধা ২১টি, ধর্মীয় ২৬টি, অনুবাদ ৪৮টি, অভিধান ৭টি, সায়েন্স ফিকশন ৬৫টি, অন্যান্য ৪২৪টি এবং কম্পিউটার বিষয়ে কোনো বই প্রকাশ হয়নি।

এবারের অমর একুশে বই মেলায় নামী লেখকদের পাশাপাশি উদয়ীমান লেখকদের বই ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়াও কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টান লেখকদের বই প্রকাশিত হয় এবারের বই মেলায়। তাদের মধ্যে রঞ্জনা বিশ্বাস ‘বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা উৎস ও তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন।

ডিসিনিউজকে তিনি জানান, ‘বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা উৎস ও তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য’ একটি গবেষণাধর্মী বই। বইটি প্রকাশ করতে প্রায় একযুগ পরিশ্রম করতে হয়েছে।’
‘গবেষণা কর্মটি বাংলা একাডেমি করার জন্য তাকে আহ্বান করলে, তিনি নিজেই এই কাজটি সম্পন্ন করবেন বলে জানান। এবং দক্ষতার সাথে শেষও করেছেন’ জানান লেখক বিশ্বাস।

তথ্য মতে, এবারের বই মেলায় অন্যবারের তুলনায় দর্শণার্থীদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি ছিল। অপর দিকে নতুন বই প্রকাশও ছিল অন্যবারের চেয়ে বেশি। এবার বই মেলায় ৪ হাজার ৫শ ৯১টি নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে।

আরবি.আরপি. ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮