শিরোনাম :
এখনো আতঙ্ক কাটেনি
গোবিন্দগঞ্জ মাদারপুরের আদিবাসীদের মাঝে এখনো ভয়ের রেশ কাটেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এদিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকারের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি ডিসিনিউজকে জানান, ‘এলাকায় কোন আতঙ্ক নেই। সবার মাঝে এখন শান্তি বিরাজ করছে। ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে তিনি বলেন, কখনোই এলাকায় কোন ধারা জারি করা হয়নি। এলাকায়ও কোনো প্রকার আতঙ্কের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা নেই।
পুলিশ কর্মকর্তা সরকার এলাকা পুরুষ শূণ্য বিষয়ে বলেন, ‘এলাকার কোনো পুরুষ পালিয়ে বেড়ায় না। স্থানীয় পুরুষের সাথে স্বাভাবিকভাবেই দেখা হচ্ছে এবং কথা হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে পুুুুলিশ কর্মকর্তা সরকার বলেন, যে জমি নিয়ে হামলার সূত্রপাত, সেই জমি ১৯৫৬ সাল থেইে সরকারি সুগার মিল কর্তৃপক্ষের মালিকানা হিসেবে রেকর্ড রয়েছে। তিন মাস ধরে কিছু আদিবাসী সেখানে বসবাস করে সেই জমি তাদের পৈতৃক বলে দাবি করছে। স্থানীয় প্রতিনিধি, মিল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য কয়েক দফা তাদের সাথে জমি সংক্রান্ত জটিলতার নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা করেও সমাধান করতে পারেননি। এ নিয়ে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা চলছিলো। রোববার কিছু আদিবাসী লোকজন পুলিশের উপর ইট ছুড়লে, পুলিশও তাদের উপর ফায়ার করে। এরপর পুলিশের সাথে স্থানীয় জনগণও যোগ দিয়ে আদিবাসীদের উপর হামলা চালায়।
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তরা উক্ত জমি তাদের বাপ-দাদার ভিটা বলে দাবি জানিয়ে আসছে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, এলাকায় আর কোনোধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই এবং আতঙ্ক নিয়ে থাকারও কোনো পরিস্থিতি নেই। এখানে এখন সবকিছু স্বাভাবিক।
৬ নভেম্বর, রোববার আদিবাসীদের সাথে সুগারমিল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন মারা যায় এবং অনেকেই আহত হয়। সোমবার স্থানীয় লোকজন ও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আদিবাসীদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে। প্রত্যক্ষদর্শিরা ডিসিনিউজকে জানায়, পনেরশোরও বেশি বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরও এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা জানান, তাদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি।
আরবি/আরপি/আরএসআর
৮ নভেম্বর, ২০১৬