শিরোনাম :
নানামুখী পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ : আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
সমাজ সভ্যতার বিবর্তনে নারীর অংশগ্রহণ ও অবদান পুরুষের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে নারী ঘরে -বাইরে সমান দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
অন্দরমহলের পর্দার বাইরে সর্বক্ষেত্রেই বিচরণ করে সফলতার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে ।নারীদের জীবন চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও নানামুখী পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে।
সমাজে নারীর অবস্হান ও নানামুখী পেশা নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে ঘুরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন কামনা কস্তা।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার পাশাডাঙা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ি গ্রামের জান্নাতুল সরকার চম্পা চাটমোহরে সংবাদপত্র বিলির কাজ করেন। তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, ‘৫ বছর যাবৎ এই কাজ করছি ।২০০৫ সালে এপ্রিলে বিয়ে করার এক বছর পর ডিভোর্স হয়ে যায় ।আবুল খায়ের কোম্পানিতে চাকুরি করি তিন বছর।তারপর থেকে এই কাজ করি। আমি মনে করি কোন কাজই ছোট নয়।’
‘শুরুর দিকে তিনশ টাকার মতো রোজগার হতো। বাবা নেই। ভাইয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে দৈনিক সাড়ে তিনশ সংবাদপত্র বিলি করেন অফিস, দোকান ও বাসাবাড়িতে। কমিশনের ভিত্তিতে যে বেতন আসে যা দিয়ে ভালোই চলে দিনকাল।’ বলেন চম্পা।
চাটমোহর উপজেলার কাতুলী গ্রামের দুই সন্তানের মা বন্যা কস্তা( ২৯ ) মথুরাপুর মিশন গেটে সেন্ট রীটা’স হাইস্কুলের বিপরীতে কসমেটিক্স ও মহিলাদের পোশাকের দোকান করেছেন। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার পায়ে সমস্যা থাকার কারণে আমি অন্য পাঁচজন মেয়ের মতো চাকুরি করতে পারিনা। আমার পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য একবছর হলো দোকান করেছি। স্বামীর সহায়তায় বেশ ভালোই চলছে দোকান।’
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার উত্তরচকে শালুক ফিলিং স্টেশনের মহিলা কর্মী শিউলি আক্তার (৩৪) আট বছর যাবৎ ফিলিং স্টেশনের তেল ভরার কাজ করছেন। তিন সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে তার সংসার।পারিবারিক আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২ টা এবং দুপুর ২ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাপ্তাহিক শিফটে কাজ করেন তিনি।এই কাজ করতে কোন সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘কাজ করতে কোন অসুবিধা হয় না। নিরাপত্তাকর্মী আছে। সবাই খুব সহযোগিতা করে। নারী হিসেবে কোনো সমস্যা হয় না।”
এভাবেই নারীরা সমাজে এবং দেশে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে।
আরবি.আরপি. ৮ মার্চ, ২০১৮