ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট স্বপ্ন পূরণের পথে: ঢাকা ক্রেডিটের ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল

স্বপ্ন পূরণের পথে: ঢাকা ক্রেডিটের ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল

0
1372

স্বপ্ন পূরণের পথে পা বাড়ালো ঢাকা ক্রেডিটের প্রতীক্ষিত ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল।

মঠবাড়ী কুচিলাবাড়ীর ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে ৬ এপ্রিল (শুক্রবার) ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পর্ষদের সাথে হাসপাতালের কনসালটেন্ট ভারত থেকে আগত তিমির চক্রবর্তী এবং হাসপাতালের পরামর্শক মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজের সাথে প্রস্তাবিত নকশা, ডিজাইন, ড্রয়িং ও মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।

এ দিন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল ৪০ হাজার সদস্যের মূলধনে প্রতিষ্ঠিত হবে। যা খ্রিষ্টান সমাজের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের প্রায় সকল সদস্য স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। প্রতি বছর বিপুল পরিমান টাকা সদস্যদের স্বাস্থ্য সেবায় প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগেও মানুষ আক্রান্ত হয়। বর্তমানে চিকিৎসা সেবায় অনেক বেশি অর্থ ব্যয় হয়। তাই সদস্যদের কল্যাণের বিষয় বিবেচনা রেখেই এই ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের গোড়াপত্তনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এটা কোনো ব্যক্তিমালিকানাভিত্তিক হাসপাতাল নয়, এটা সদস্যদের আমানতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই আমাদের আরো বেশি সচেতন হয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।’

‘এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের ঋণ প্রদান শেষে বিপুল পরিমান অর্থ থাকে, যা বিনিয়োগ করা চ্যালেঞ্জিং। সদস্যদের স্বার্থেই সেই অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি, অলস অর্থের যথাযথ ব্যবহার এবং ঢাকা ক্রেডিটের ৪০ হাজার সদস্য, অন্যান্য সমিতির সদস্য ও দেশের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেই এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য’ বলেন প্রেডিসেডন্ট গমেজ।

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সরকারি এবং সমবায়ী নিয়মকানুন মেনে কাজ করতে হবে, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং তা আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে।’

‘একটি মানসম্মত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ভারত থেকে একজন কনসালটেন্টের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তিমির চক্রবর্তী ভারতে নিজেদের সংশ্লিষ্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বে শতাধিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। এ ছাড়াও একজন পরামর্শক নেওয়া হয়েছে, যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজ স্কয়ার হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দিবেন’ জানান প্রেসিডেন্ট গমেজ।

সভায় মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট আমাকে যখন ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের বিষয়ে জানান, তখন আমিও আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসি। এরপরই আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভারতের একজন দক্ষ কনসালটেন্ট তিমির চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করি এবং তিনিও আমাদের সাথে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন। আজ আমরা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় মিলিত হয়েছি। আশা করি আজকের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।’

এ সময় ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সেক্রেটারি ও হাসপাতাল কমিটির সদস্য হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, বোর্ড অব ডিরেক্টর পিটার গোমেজ, পিটার রতন কোড়াইয়া, আনন্দ ফিলিপ পালমা, উইলসন রিবেরু, পাপিয়া রিবেরু, জন নিলু চাম্মুগং, আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, ক্রেডিটের কমিটির চেয়ারম্যান সলোমন আই. রোজারিও, সেক্রেটারি যোসেফ সজল গমেজ, ক্রেডিট কমিটির সদস্য প্রত্যেশ রাংসা, সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান পূর্ণিমা মারিয়া গমেজ, সেক্রেটারি জন গমেজ, সুপার ভাইজরি কমিটির সদস্য লরেন্স মানিক রোজারিও, ষ্টেলা হাজরাসহ ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার, সহকারী প্রধান নির্বাহী অফিসার, চিফ অফিসারবৃন্দ এবং সমবার্তার সম্পাদক রাফায়েল পালমা।

এ সময় কনসালটেন্ট তিমির চক্রবর্তী ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের ডিজাইন, মেথডোলজি, ওয়ার্কপ্ল্যান, ড্রয়িং, মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিশদ আলোচনা করেন।

হাসপাতালের মাস্টার প্ল্যানের ফেইজ-১, ২ এবং ফেইজ-৩ নিয়ে আলোচনা করেন মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজ। তিনি প্রজেক্ট প্রাথমিকভাবে শুরু করতে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, আর্কিটেক্ট, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়িার এবং অফিস এক্সুকিউটিভ নিয়োগের প্রস্তাব রাখেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাবিত হাসপাতাল সত্যিই আমাদের সমাজের জন্য খুবই জরুরি। আমাদের একটি হলিফ্যামিলি হাসপাতাল হাতছাড়া হয়ে গেছে, কিন্তু ঢাকা ক্রেডিটের ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল আমাদের সব অভাব পূরণ করবে। আমাদের সমাজে ফাদার-সিষ্টার অনেক কষ্ট করে ব্রতীয় জীবন-যাপন করেন। আমরা তাদের একটা সুসংবাদ দিয়ে বলতে পারি, আপনারা আসেন এবং আমাদের সাথে এই হাসপাতালের মাধ্যমে কাজ করুন।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু হাসপাতালের নামই হলো ডিভাইন মার্সি, তাই এখানে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই।’

এ দিন বোর্ড ডিরেক্টর পাপিয়া রিবেরু প্রারম্ভিক প্রার্থনা করেন।

আলোচনা সভা শেষে ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সেক্রেটারি ও হাসপাতাল কমিটির সদস্য হেমন্ত আই. কোড়াইয়া হাসপতালের কনসালটেন্ট তিমির চক্রবর্তী, পরামর্শক মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজ প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এ দিন বিকালে সকলে হাসপাতালের জন্য ক্রয়কৃত নির্ধারিত বাইশ বিঘা জমি পরিদর্শন করেন।

আরবি.আরপি. ৬ এপ্রিল, ২০১৮