শিরোনাম :
সমিতির বহিষ্কৃত সদস্য মি. আব্রাহাম গোমেজ কর্তৃক ফেসবুকে বিভ্রান্ত, বানোয়াট ও অসত্য তথ্য প্রচারের বিষয়ে ঢাকা ক্রেডিটের ব্যাখ্যা:
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে মি. গাব্রিয়েল রোজারিও অত্র সমিতির প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন অবস্থায় মি. আব্রাহাম গোমেজ সমিতির তৎকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট উপ-কমিটির আহ্বায়ক মি. সঞ্চয় ডমিনিক রোজারিও’র সাথে যোগসাজসে এবং তৎকালীন বোর্ডের অজ্ঞাতসারে তার নিজ নামে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে দি সিসিসিইউ আবাসন-১, মিরপুর এবং আবাসন-২, নদ্দা প্রকল্পে মোট ৪টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেন। উক্ত ৪টি ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে সমিতির ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তার উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনার পর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ তার পরিবারের অনুকূলে একটি ফ্ল্যাট রেখে বাকি ৩টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বোর্ড পদক্ষেপ নিলেও তিনি বোর্ডকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করেননি; বরং বোর্ডকে নানাভাবে অসহযোগিতা করেছেন এবং তৎকালীন বোর্ডের বিরুদ্ধে (মি. দীপক পিরিছ, মি. ডেভিড ফ্রান্সিস কোড়াইয়া, মি. ইগ্নাসিয়াস হেমন্ত কোড়াইয়া, মি. বাবু মার্কুজ গমেজ, মি. নির্মল রোজারিও) ১৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যার অধিকাংশ মামলা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে স্থগিতাদেশ ছিল। বিষয়টি নিয়ে সমিতির ৪৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনা হলে সাধারণ সভা বোর্ডকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব অর্পণ করে। কিন্তু তিনি সমিতির স্বার্থ, সুনাম ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সমিতির স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন বোর্ড তার সদস্যপদ সমিতি থেকে স্থগিত করে।
পরবর্তীতে তিনি তার সদস্যপদ পুনঃবহালের জন্য সমবায় অধিদপ্তরে শালিসী মোকদ্দমা নং-১৯/১১ দায়ের করেন। এই শালিসী মোকদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন বোর্ডের সেক্রেটারি মি. দীপক পিরিছ মোকাম বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, ঢাকাতে অন্যান্য মোকদ্দামা নং ০১/২০১২ দায়ের করেন। মি. আব্রাহাম গোমেজ-এর মামলাগুলোর কোনো মেরিট না থাকার কারণে পরবর্তীতে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা তুলে নিবেন মর্মে তৎকালীন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় অরুণ বার্নাড ডি’কস্তা ও মি. দীপক পিরিছ-এর বরাবরে একটি আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৭ নভেম্বর, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে একটি ‘দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয় যেখানে তিনি নিজে, তার স্ত্রী মিসেস পুষ্প তেরেজা গোমেজ, দুই পুত্র মি. জন গোমেজ ও মি. যাকোব গোমেজ স্বাক্ষর করেন এবং চুক্তি মোতাবেক উভয়পক্ষ সকল মামলা প্রত্যাহারপূর্বক তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সদস্যপদ পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত হয় এবং তা বাস্তবায়িত হয় এবং যাবতীয় দেনাপাওনা পরিশোধ করা হয়। তিনি বিগত বোর্ডের সময় (২০১৪-২০১৭) ৮০,০০,০০০.০০ (আশি লক্ষ) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু তৎকালীন বোর্ডের সেক্রেটারি মি. দীপক পিরিছ উক্ত দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক তার দায়েরকৃত মোকদ্দমাটি প্রত্যাহার করেননি। ফলে মামলাটি বিগত বোর্ডগুলোর দৃষ্টিগোচরে আসেনি; ফলে তা চলমান থাকে। ইদানিং সেই মামলাটি বিজ্ঞ আদালত বাদীর অনুপস্থিতিতে খারিজ করে দেন এবং কোর্ট ফি বাবদ ২,০০০.০০ টাকা প্রদনের নির্দেশ দেন। মি. দীপক পিরিছের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক মামলা প্রত্যাহার না করায় এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আবারো সমিতির স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সমবায় সমিতি আইন ও বিধিমালা, সমিতির উপ-আইন ও সমিতি ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মি. আব্রাহাম গোমেজ-এর সদস্যপদ পুনরায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।