শিরোনাম :
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
২৫ মে, সকাল ১১টায় ঢাকায় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের মূলভাব ছিল ‘অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে তিন দশক।’
আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি হিউবার্ট গমেজ বলেন, আমরা সবাই মানুষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নয়। আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে।’
‘আজকে আমাদের সমস্যা সামাজিক নয়, ধর্মীয় নয়, সমস্যাটা রাজনৈতিক। রাজনীতিতে অশুভ শক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা করেছিল পাকিস্তানিরা। আপনাদের যে কোন ধরনে সমস্যা প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা পাশে থাকবে’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য মাহাবুবুল আলম হানিফ।
বাংলাদেশ হিদু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত তার লিখিত প্রবন্ধ ‘অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনের তিন দশক’ পাঠ করেন। এখানে তিনি হিদু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শুরু এবং সংগ্রামের ইতিহাস এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা কীভাবে নির্যাতিত এবং অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন তা সুন্দরভাবে উপস্থান করেন।
‘মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ঐক্য, মর্যাদা এবং শান্তি আমাদের মধ্যে থাকলে কোন সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না’ এ কথা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
মাননীয় সংসদ সদস্য ফজলুল হোসেন বাদশা বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো অনেক পাকিস্তানি আছে, বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক করতে হলে পাকিস্তানির বাংলাদেশে কোন স্থান দেয়া যাবে না। বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখতে হলে সংখালঘুদের সুরক্ষা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের চারটি মূলনীতি ঠিক থাকলে রাষ্ট্রধর্মের কোন প্রয়োজন নেই।’
‘ধর্মীয় এবং জাতিতে সংখ্যালঘুরা দুর্বলের চেয়ে দুর্বল’ একথা বলেন বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
আরো বক্তরা বলেন, বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করেত হবে, হিন্দুদের অর্পিত সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সাধারণ চিকিৎক পরিষদের যুগ্ন-মহাসচিব উত্তম কুমার বড়–য়া, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ এর সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সংগ্রামী মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, লক্ষীবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ভিক্টর রে, রমনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্লেমেন্ট ঢালী, বনানী শাখার সভাপতি সেবাষ্টিয়ান বাড়ৈ এ ছাড়াও আরো অনেকে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজে সকলকে ধন্যবাদ প্রদানের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া এই আলোচনা সভায় ৫০০-এরও বেশি বিভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিত্ব এবং প্রায় পঁচিশটির বেশী চ্যানেলের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।