ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান চাই : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান চাই : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

0
752

‘বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান চাই’ শীর্ষক শিরোনামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আজ সকাল ১১টায় (৯ জুন) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বাজেটের যে বৈষম্য তা আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।

আলোচনায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ বলেন, ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, কিন্তু সংখ্যালঘুরা কেন বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে।

‘২০১৬-১৭ অর্থ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে, কিন্তু দুই অর্থ বছরেও কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মসজিদ এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করার জন্য বাজেট আছে, কিন্তু হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধদের জন্য কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। ধর্মমন্ত্রণালয়ের বাজেটে বিদ্যমান বৈষম্য জিইয়ে রেখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা কখনোই সম্ভবন নয়।’ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত ।

ড. প্রফেসর এমএম আকাশ অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ষ্টান পয়েন্ট ধর্মভিত্তিক নয়, আমি মানুষ ভিত্তিক। সংবিধানের অসংগতির কারণেই বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িকতার কারণ।’

কবি সৈয়দ সামসুল হকের ভাষায়, ‘একবার সাহসী হয়ে ওঠো দেখবে অন্ধকার কাটতে আর বেশি দেরী নেই’ বলেন প্রবীণ ছাত্র নেতা এবং সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি এবং অর্থনীতিবিদ আবুল বরকত বলেন, ‘সংবিধানের চারটি মূলনীতি থাকলে সেখানে রাষ্ট্রধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। বাজেটের টাকা বরাদ্দ দিয়েই ধর্মীয় বৈষম্য শেষ হয় না।’

এ ছাড়া আলোচনা সভায় মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বক্তারা বাজেটের বৈষম্যকে রাজনৈতিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

আলোচনা সভায় হিউবার্ট গমেজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ড. আর.এম দেব নাথ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, সাংসদ পংকজ দেবনাথ, শ্রী মনিন্দ্র কুমার নাথ, জাতীয় পার্টির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সুশীল শুভ রায়, সাংসদ মনোরঞ্জন সেন গোপাল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সংগ্রামী মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, বিসিএ বনানী শাখার সভাপতি সেবাষ্টিয়ান বাড়ৈ, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর আনন্দ ফিলিপ পালমা, ক্রেডিট কমিটির সদস্য জেমস নিখিল দাস, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মানিক লরেন্স রোজারিওসহ আরো অনেকে।

উক্ত আলোচনা সভায় চার শতাধিক হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।

এইচআর. আরপি. ৯ জুন ২০১৮