শিরোনাম :
আমুতে চা জনগোষ্ঠীর আদিবাসী অধিকার- মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ
হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার দূর্গম আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করে আমু চা বাগান। এখানে বিলুপ্ত প্রায় অনেক আদিবাসী বাস করে। হারিয়ে যাচ্ছে মূল ভাষাসহ সংস্কৃতি-সভ্যতা। অন্যদিকে জানে না নিজের আদিবাসীর দাবি আদায়।
ডাঁনকান ব্রার্দাস লি. এর আওতাই এই বাগানে যোগাযোগ ভালো থাকলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠিদের খুব কমই এনজিও গুলোর কাজ হয় জানালেন স্থানীয়রা।
অবহেলিত চা জনগোষ্ঠি আদিবাসী থাকাই এবারই প্রথম আমু চা বাগানের কাছে আসলো আইপিডিএস।
গতকাল ৯ জুন (শনিবার) সারাদিন ব্যাপী আমু চা বাগানের ঘনশ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে “চা জনগোষ্ঠির আদিবাসী অধিকার ও মানবাধিকার” নিয়ে স্হানীয় জনগন ও অন্যান্য বাগান থেকে আসা যুবা ও প্রবীন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে প্রধান শিক্ষক রানা প্রসাদ সাহা নিজের পুরোনো স্মৃতি ধরে নিজের অভিজ্ঞতাই স্কুলের উন্নয়ন, মাদক বিরোধী, মাতৃত্ব সমস্যাসহ আদিবাসী অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে অনেক কিছু বলেন। তাই তিনি আহব্বান রাখেন নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে, তবে কি অধিকার তা আমাদের জানতে হবে। শিশুদের শিক্ষা বিষয়ে আরো বলেন প্রথম শিক্ষক বা শিক্ষাস্তর হলো পরিবার তাই প্রতিটি পিতামাতার দায়িত্ব সন্তানকে ভালো শিক্ষাই শিক্ষিত করা।
প্রশিক্ষণে মি.রিপন আদিবাসী অধিকার-মানবাধিকার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন। যার ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশংসার সাথে বলেন, এমন প্রশিক্ষণ আগে আমরা পাইনি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি তাই আইপিডিএস এর কাছে আরো দাবী জানাই সময় সল্পতাই অনেক কিছু জানা সম্ভব নয় তাই আগামীতে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। যাতে করে আদিবাসীর অধিকার-মানবাধিকার, নিজেদের দাবী আদায়সহ অনেক কিছু স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারি।
প্রশিক্ষণে ঘনশ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রানা প্রসাদ সাহার সভাপতিত্বে আরো উপস্তিত ছিলেন মি.রিপন চন্দ্র বানাই(আইপিডিএস এর প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর) ও মি.স্বপন সাঁওতাল(বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, সদস্য)।
প্রশিক্ষণটি মানবাধিকার প্রকল্প-ইউএনডিপি এর সহযোগীতাই এবং “ইনডিজিনাস পিপিলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস”-(আইপিডিএস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
আরবি. আরপি. ১১ জুন ২০১৮