শিরোনাম :
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বান্দরবানের নিচু এলাকা প্লাবিত : রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
তিনদিনের টানা ও প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে সাংঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকঁখালী নদীর পানি বেড়ে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
১১ জুন সকাল থেকে সড়কের ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাহত হয়েছে বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কে যানবাহন চলাচল। এক পর্যায়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যা আজ ১২ জুন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবান শহরের স্বর্ণ মন্দির এলাকা সংলগ্ন পুলপাড়ার বেইলি ব্রিজ ডুবে গিয়ে রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল থেকে কোনো যানবাহন ব্রিজের ওপারে যেতে না পারায় অনেকেই নৌকায় করে ব্রিজটি পার হয়ে রাঙামাটির ওই সড়ক হয়ে অন্যান্য স্থানে গেছেন। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দূর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভারী বর্ষণের কারণে জেলা শহর ও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় ছোটখাট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা উপজেলা বাজারে পানি উঠেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন ধরে বান্দরবান শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দাদের সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
মাননীয় জেলা প্রশাসক, বান্দরবান, মো. আসলাম হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে বেশ কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ এর জুন মাসের প্রবল বর্ষনের ফলে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে ভূমি ও পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
আরবি.আরপি. ১২ জুন ২০১৮